পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ও সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এ মুহূর্তে রিটের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করছি না। প্রয়োজন মনে করলে আপনারা (রিটকারী) সংশ্লিষ্ট আদালতে যেতে পারেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। রিট পিটিশনারের পক্ষের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তার সঙ্গে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হেলালউদ্দিন।
রিটের বিষয়ে হেলালউদ্দিন বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ সম্পত্তির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দেন দলটির এক নেতা। ওইদিন জাপার প্যাডে লিখে এই অভিযোগ দুদকে জমা দিয়েছেন জাতীয় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির ৪ (চার) জন নারী সংসদ সদস্যর মনোনয়ন কার্যক্রমে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা উৎকোচ নেন জি এম কাদের। উৎকোচের বিনিময়ে ওই চার নারীকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মসিউর রহমান রাঙ্গার মাধ্যমে মনোনীত নারী সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জাতীয় সংসদের আসনে মনোনীত করার অঙ্গীকার ও অর্থ প্রদানের শর্তে চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। এ বিষয়ে একজন নারী এমপি’র চুক্তি হয়। যা এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তিন জন এমপি’র কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা করে অন্তত ১৫ কোটি এবং মরহুম অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীর কাছ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে জি এম কাদের নিয়েছেন। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ইন্তেকালের পর মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা একটি প্যাডে এরশাদের স্বাক্ষর তৈরি করেন। সেটির তদন্ত না করায় দুদক লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। নোটিশ প্রাপ্তির পরও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে এমপি পদের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের আবেদন নিষ্পত্তির আর্জি জানিয়ে এ রিট করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।