Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

৩ বছরেও শুরু হয়নি নির্মাণকাজ মুসল্লিরা সীমাহীন দুর্ভোগে

কলারোয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

আবদুল হামিদ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কলারোয়ায় ৩ বছরেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। ফলে কয়েকশ’ মুসল্লি নামাজ আদায়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জানা গেছে, প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১টি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালে কলারোয়ায় এই মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এই মসজিদ নির্মাণের জন্য কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়। কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যশোরের হাসান এণ্ড সন্স ভেঙে ফেলা মসজিদ চত্বরে কিছু নির্মাণ সামগ্রী এনে রাখে।

কিন্তু ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনতালা বিশিষ্ট এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সমাপ্ত করার নির্দেশনা থাকলেও এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত প্রায় ৩ বছরেও কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। এদিকে পুরাতন মসজিদটি ভাঙার পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অফিসার্স ক্লাবের পাশে একটি পুরাতন জরাজীর্ণ সঙ্কীর্ণ ভবনে অস্থায়ীভাবে মুসল্লীদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। স্থান সঙ্কলন না হওয়ায় বারান্দায় তাবু দিয়ে নামাজ পড়তে হয়। বর্ষায় নামাজ পড়ার সময় জরাজীর্ন ভবন দিয়ে পানি পড়ে মুসল্লীরা ভিজে যায়। সঙ্কীর্ণতার কারণে ও জুখানায় মুসল্লীদের সিরিয়াল দিতে হয়। কয়েকশ’ মসল্লীর জন্য দু’টি প্রস্রাবখানা থাকায় সেখানে সিরিয়াল দিতে হয়। সিরিয়ালে বিলম্ব হওয়ায় অনেক বয়স্ক মুসল্লীর কাপড় না-পাক হয়ে পড়ে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অস্থায়ী মসজিদের পায়খানায় প্রবেশ করলে দুর্গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় কবে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হবে, মুসল্লীদের নামাজে দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে-এই প্রশ্ন সকলের।

এ ব্যাপারে নির্মানের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান বলেন, সময় মত জমি বুঝে না পাওয়া এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব ঘটছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তর সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াৎ মো. শায়খুল আজম বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করতে দেরি করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ