বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী নিজে ভোটার নন। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার। তাই সেই সংখ্যাও সীমিত। একারনে কোনো ভোটই নিশ্চিত নয়! এমন পরিস্থিতিতে শূন্য ভোট পাওয়ারও শঙ্কা থেকে যায়। তেমনই ঘটনা ঘটেছে যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে। এখানে চারটি ওয়ার্ডের ৬ জন সদস্য প্রার্থীর ভোটের খাতা শূন্য। সোমবার বিকেলে ফলাফল ঘোষণার সময় যশোর জেলা প্রশাসক ও এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তমিজুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।
প্রকাশিত ফলাফল সূত্রে জানা যায়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অভয়নগরের দু’জন সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটিও ভোট পাননি। তারা হলেন অটোরিক্সা প্রতীকের এমএম আজিম উদ্দিন এবং ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর শেখ মাহবুব উর রহমান। এই ওয়ার্ডে ৬৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্লা।
অন্যদিকে, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাঘারপাড়ার তালা প্রতীকের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান কোন ভোট পাননি। ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে সদস্য পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা।
এছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যশোর সদরে সদস্য পদে একটি ভোটও পায়নি টিউবওয়েলের সোহেল রানা এবং উটপাখি প্রতীকের অহেদুজ্জামান সেলিম। এখানে জয়লাভ করেছেন শ্রমিক লীগ নেতা হাতি প্রতীকের জবেদ আলী। তিনি ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে এক ভোটও পাননি ৮নম্বর ওয়ার্ড কেশবপুরের ঘুড়ি প্রতীকের নজরুল ইসলাম খাঁন। এই ওয়ার্ডে সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন হাতি প্রতীকের আজিজুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৮।
প্রসঙ্গত, যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯৫৭ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী বিকল্প ধারা’র প্রার্থী মারুফ হাসান কাজল পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।