প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তন করার কথা ভাবছে সরকার। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে টেলিভিশন গণমাধ্যমের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) খাদিজা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভাবছি টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য আলাদা কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রবর্তন করা যায় কি না। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে কয়েক দফা আলোচনাও করেছি। এটি একটি বড় মাধ্যম এখন। সিনেমার জন্য আছে, কিন্তু টেলিভিশনে যারা অভিনয় করেন তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কার নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। যেহেতু এটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবেই শিল্পী ও শিল্পের সুরক্ষার জন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।’
বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা অচিরেই তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিজ্ঞাপনচিত্র বানানো হয় বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে। অথচ আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী আছেন, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছেন। ইদানিং আমরা একটি প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি, সব বিজ্ঞাপন চিত্রই যতটা সম্ভব বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বানিয়ে আনা এবং বিদেশি বিজ্ঞাপন ডাবিং করে বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমরা সেটির লাগাম টেনে ধরতে চাই। সেজন্য এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আরও একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।’
বৈঠকে অভিনয়শিল্পী, নাট্য পরিচালক ও প্রযোজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শম্পা রেজা, অরুণা বিশ্বাস, শামস সুমন, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, এস এম কামরুজ্জামান সাগর, নাজনীন হাসান চুমকী, সুমন শামস, প্রসূন বিশ্বাস, আমর শাইখ প্রমুখ। বৈঠকে টিভি নাটকের বিকাশে তাদের মতামত তুলে ধরায় মন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান। এর আগে টেলিভিশন গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।