চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া একটি কন্টেইনারের ভেতরে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। কন্টেইনার থেকে উদ্ধার করা লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাত্রা শুরুর ৯ দিন পর ৬ অক্টোবর ওই কন্টেইনার মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে পৌঁছায়। যে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি কয়েকদিন ধরে কন্টেইনারে আটকা ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কন্টেইনার থেকে লাশ উদ্ধারকে অনেকেই মানবপাচারের ঘটনা বলেও মন্তব্য করেছেন। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।

এদিকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো কন্টেইনারে লাশ উদ্ধারের ঘটনা সম্পর্কে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে। জানা গেছে কনটেইনার টি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সেটি জাহাজে তোলা হয়। বিএম ডিপো থেকে বের করার সময় কনটেইনার টি দুই দফা তল্লাশি করা হয় এবং ছবি তুলে রাখা হয়েছে। ডিপোর কর্মকর্তা ওই ছবি দেখিয়ে বলেন, ডিপো থেকে এটি খালি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্দরে পাঠানো কন্টেইনার থেকে লোকজনকে উদ্ধারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পাঠানো বাংলাদেশের কন্টেইনার থেকে লোকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তম বন্দরে বাংলাদেশি একটি খালি কন্টেইনার থেকে এক তরুণকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিশাখাপত্তম বন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ওই তরুণের নাম মোহাম্মদ রোহান হোসাইন (৩০)। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরগামী কন্টেইনার লোড করার সময় কেডিএস কন্টেইনার ডিপোর বাবুল ত্রিপুরা নামের এক কর্মীকে একটি কন্টেইনারের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।