বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সাথে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
বরিশাল সরকারি জেলা স্কুল কেন্দ্রে গতকাল সদর উপজেলার সদস্য প্রার্থী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছিল। এসময় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু এবং নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুকে সাথে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। মেয়রের সার্বিক কার্যক্রম তার সাথে থাকা দলীয় কর্মীরা ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভ প্রচার করছিল।
সিটি মেয়র তার সঙ্গীদেরসহ ভোটকক্ষে প্রবেশের গেটে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিক ভোটার নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ না করার অনুরোধ করেন। মেয়র ভোট কক্ষের দিকে এগিয়ে গেলে কর্তব্যরত সদর ইউএনও মনিরুজ্জামান মেয়রকে একাধিক ভোটারকে সাথে নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করার অনুরোধ করেন।
এ সময়ে মেয়র ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন ‘আমি কি ঢুকছি? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরেও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বোঝা যায় দল বাইধা ঢুকতাছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদেও?
এসময়ে বিসিসি’র কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না পাশ থেকে বলেন ‘এখানে সবাই ভোটার। আপনে চেনেন না। আপনে বরিশালে মনে হয় নতুন।’ একেএম জাহাঙ্গীর নিজেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘উনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। আর উপজেলা চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে বরেণ, ‘আর উনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’। এসময়ে ইউএনও বলেন ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।’
এরপরেই মেয়র সাদিক ইউএনওকে বলেন ‘আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। আসার পর থেকে আপনারা বলতেছেন। ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শোনেননি।’ তখন ইউএনও বলেন, আপনাকে কিছু বলিনি স্যার। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউএনওকে নিবৃত্ত করেন।
এসব ঘটনা ও কথাবার্তা সিটি মেয়রের ফেসবুকে পেজ থেকে লাইভে দেখানো হচ্ছিল। যেখানে ভোট কেন্দ্রের ভেতরও দেখা যাচ্ছিল। বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্রে ফেসবুক লাইভ করার বিধান নেই। তবে ইউএনও মনিরুজ্জামান বাগবিতণ্ডার কথা সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।