Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ হুমকিতে ফরিদপুরের জনস্বাস্থ্য

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফরিদপুরে বাড়ছে চোখ উঠা রোগের প্রকোপ, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। ঋতুচক্রে এখন হেমন্তকাল। দিনের প্রখর রোদ ও শেষ রাতে শীতের আমেজে অনেকেই পাতলা কাঁথা কম্বল, চাদর, ব্যাবহার শুরু করছে।
হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে ফরিদপুরজুড়ে। দিন-রাতে তাপমাত্রার এমন পরিবর্তনে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। বাড়ছে হাসপাতালের নতুন নতুন রোগীর সংখ্যাও। সাথে এক সপ্তাহে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিনই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যা বেশি। এদিকে জেলা ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারের ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী বাজার মুল্যের চেয়ে ড্রপের মূল্য বেশি নিচ্ছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ রোগী কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি গ্রাম ডাক্তার মো. আবজাল হোসেন বলেন, ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে এ রোগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার প্রত্যেক গ্রামেই চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতাল, গ্রাম্য চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা ভিড় করছেন। বাড়ির একজন সদস্য আক্রান্ত হলে পরিবারের প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এটা বিশাল একটি সমস্যা। সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ময়লা আসা, চোখে ব্যথা অনুভব ও খচখচ করা, রোদে অস্বস্তি লাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, দিনে গরম রাতে শীত এমন অবস্থায় জ্বর, সর্দিকাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে জেলার হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে কিছুদিন যাবত ‘চোখ ওঠা রোগী প্রায় ঘরে ঘরে। ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। এই রোগে আক্রন্ত হয়ে পড়ছে শহরের স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরাও। এতে কোমলমতি শিশু এবং তাদের অভিবাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে চরম আতঙ্ক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ