রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়োগ দেয়া ৬ জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রার মো. আবদুর রেজ্জাক এক অফিস আদেশে নতুন এই ৬ জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স স্থগিত করেন। এর আগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই ৬ জনকে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দানের অভিযোগ ওঠে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল খালিদ নামের এক নিয়োগপ্রার্থী। এছাড়া মাসুদ করিম নামের আরেকজন সদর সাব-রেজিস্ট্রারের এসব দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৩ সালে কাজী মো. মতিউল কোরানসহ চারজন নিকাহ রেজিস্ট্রার তাদের অধিক্ষেত্র এলাকায় নতুন করে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের অধিক্ষেত্র এলাকায় নতুন করে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তৎকালীন সিনিয়র সহকারী জজ মো. রোকনুজামান। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ৫ জন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়। পরে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিকে বাতিল না করেই চলতি বছরের ২৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে ৬ জন নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য আবারো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের জন্য তৎপরতা শুরু করে। এর আলোকে অতি গোপনে ৬টি পদের বিপরীতে ১৮ জন প্রার্থীর আবেদন জমা দেখিয়ে নিয়োগের জন্য প্যানেল প্রস্তুত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়। অভিযোগ উঠেছে প্যানেল প্রস্তুতকরণের সভায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও উপস্থিত ছিলেন না। এরপরও সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাঠানো প্যানেল তালিকা অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডে মোস্তফা কামাল, ২ও ৬ নং ওয়ার্ডে আব্দুস সামাদ, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে কুরবান আলী, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে আব্দুল কাদির এবং ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলামকে নতুন করে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু এই নিয়োগের ব্যাপারে ২০০৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কারণে জেলা রেজিস্ট্রার মো. আবদুর রেজ্জাক গত ২১ নভেম্বর এক অফিস আদেশে নতুন এই ৬ জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স স্থগিত করেন। নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থী আব্দুল খালিদ জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব- রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই ৬ কাজী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। নিয়োগ পক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে নতুন এই ৬ কাজীর লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি। এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সমিতির সভাপতি কাজী মো. সেতাউর রহমান বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া লাইসেন্সগুলো ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাতিল করে বৈধ উপায়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।