Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যবিপ্রবি ছাত্রলীগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৫১ পিএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে পাঁচ বছর আগে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট হয়। সেই ঘটনা স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে রবিবার রাতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের অস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকসহ ৫জন আহত হন।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী নুরুল আমিন। তিনি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ফেসবুক স্ট্যাটাসে নুরুল আমিন লিখেন, আজ ৫ অক্টোবর যবিপ্রবির ইতিহাস রচনার দিন। আর এই ইতিহাস রচনার মূল নায়ক যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসান। আমরা আশা করি উনি আবার আমাদের মাঝে আসবেন, ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল, ল্যাপটপ ফেরত দেওয়ার জন্য।’

এই স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীম হাসানের ভাগনে ও বর্তমান যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনার জেরে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কদমতলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসরী সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও ছাত্রলীগকর্মী জিসান আহমেদ অস্ত্র দিয়ে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে। এরপর কদমতলা থেকে তানভীর ফয়সালের অনুসরীরা শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে এসে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সভাপতি সোহলে রানার নেতৃত্ব তার অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকারকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। শিহাবকে মারধর করে ছাত্রলীগকর্মী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান রহমান রাব্বি, রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জুবায়ের, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের বাহার, একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর আলম, চতুর্থ বর্ষের সৌমিক, স্নাতকোত্তরের উত্তম, ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের বেলাল হোসেন, একাউন্ট এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব ইবনে সাইদসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগকর্মী।

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল দাবি করেছেন, কোন অস্ত্রের মহড়া হয়নি। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমরা সভাপতি-সম্পাদক বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। আর সাংবাদিকের মারপিটের ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, নিজেরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।

যবিপ্রবি উপার্চা প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি হল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। হল প্রভোস্টকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। ক্যাম্পাসে কোন বিশৃংখলা হতে দেয়া হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ