Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন জয়ী

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৪৪ পিএম

পৌরসভার পর এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ। তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাসকে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত বেসরকারী ফলাফলে আনারস প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৪৭৮। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।

বেসরকারী প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। অন্যদিকে আনারস প্রতিক নিয়ে হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১২২ ভোট। শৈলকুপায় চশমা প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ১০৯ ভোট। কালীগঞ্জে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৭০ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, মহেশপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৯২ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮০ ভোট, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় চশমা পেয়েছে ৭৬ ভোট, আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট এবং কোটচাঁদপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৪১ ভোট আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট। এছাড়া ৬ টি উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ঝিনাইদহ সদরে মোরিদ মোস্তাকিম মুনীর, হরিণাকুন্ডুতে আলাউদ্দীন, শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার মৃধা, কোটচাঁদপুরে রাজিবুল কবীর ও মহেশপুরে লিটন মিয়া নির্বাচিত হন। কালীগঞ্জ উপজেলায় সদস্য পদে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও সেলিম মিয়া সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ফলাফল ড্র হয়েছে।

সোমবার সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস ও এনজিও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত দুইটি সদস্য পদের বিপরীতে ১৩ জন ও সাধারণ ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ২২ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রে ১২টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৫৪ জন। তিনি আরো জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অধীনে এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করা ছিল। এছাড়া ৬টি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ