বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে হাসিনার পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। মানুষ হাসিনা সরকারের পতনের সংবাদ শুনার অপেক্ষায় রয়েছে। সামনে সরকারের অবস্থা আরো করুণ হবে। চট্রগ্রামে সমাবেশ করে সরকারের কোমর ভেঙে দিয়েছি, বাকি ঢাকার সমাবেশে সরকারের পতন অনিবার্য হবে। আজ দুপুরে ফেনীতে বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের দেখতে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,ফেনীর এ সংগ্রামী নেতাদের ওপর আক্রমণ করে আওয়ামীলীগ খুব একটা লাভবান হয়নি বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা চট্রগ্রামের সমাবেশ কি ঠেকাতে পেরেছে। এত অত্যাচর,আক্রমণ পথে পথে বাঁধা, কোন কিছুই আমাদের সমাবেশকে ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি শুধু সমবেদনা জানানো বা আপনাদের অবস্থা দেখতে এখানে আসিনি,আমি আপনাদের তালিকা হাতে নিয়েছি সময়মত ওদের তালিকাও হাতে আসবে বেশিদিন লাগবেনা, কারন ওদের তালিকা আমাদেরকে সংগ্রহ করতে হবে না, একটু অপেক্ষা করেন, সময়মত ওদের তালিকাও থানার পুলিশ আমাদের হাতে তুলে দিবে । কারন সরকারের যখন পতন হয় তখন কেউ পাশে থাকেনা। হাসিনা পদত্যাগ না করলে আমরা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব।
গত ১২ অক্টোবর চট্রগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশে ফেনী থেকে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেও হামলায় আহত ফেনী বিএনপির নেতাকর্মীদের সমবেদনা জানাতে আজ দুপুরে ছুটে আসেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহম্মদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর এম এ খালেক, এয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন,গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক প্রমুখ।
আহত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আপনারা ভাগ্যবান কারন গণতন্ত্রের বিজয়ের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা হিসেবে আপনাদের নামের তালিকাও আমাদের কাছে সংরক্ষণে থাকবে। এ তালিকা করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আপনারা যে কষ্টটা পেয়েছেন তার যন্ত্রণা ভোগ না করে বরং আগামীতে এর প্রতিশোধ কিভাবে নি:শর্ত নেয়া যায় সে জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, ফেনী বিএনপি এ ঘটনার পরে আরো শক্তিশালী হয়েছে, কারন ফেনী এমনিতেই একটি সন্ত্রাসের জনপদ, এ জনপদে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার,নির্যাতন হয়েছে। সভাসমাবেশ করতে হলে অনেক বাঁধা বিপত্তি আসবে। আমরা যেহেতু একবার রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আমরা রক্ত আরো দেব কিন্তু তোমাদের ফেনীর জনপদসহ সকল জনপদে আমরা সন্ত্রাসমুক্ত করব এবং হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করব।
তিনি আরো বলেন, আপনারা আমাদেরকে মারবেন আর আমরা একজন একজন করে সবাইকে নিয়ে গিয়ে কবর দেব, এভাবে আর হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আর যদি কোন অত্যাচার করা হয় বা মৃত্যুবরণ করে তাহলে শুধু তাদেরকে কবর দেব না, তার সাথে তোমাদেরকেও কবর দেওয়া হবে।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন,এ ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের আওয়ামী পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা, ক্যাডাররা আমাদের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদেরকে পথে পথে বাস থামিয়ে বাঁধা সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। এত বাঁধা বিপত্তির পরেও চট্রগ্রামের জনসভায় লক্ষ লক্ষ জনগণ সেদিন গণ মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত থেকে জনগণ জবাব দিয়েছে যে এ ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারকে আর একটি মহুর্তের জন্য বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, ফেনী হলো আমাদের দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেলা। ফেনীতে নেতাকর্মীরা অতিতেও আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আগামীতেও প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে ফেনীর নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।