পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর সামিট। পাঁচ তারকা হোটেল ‘সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’ তে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় এক হাজার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী যোগ দেন। সম্মেলনে ব্যবসায়ীগণ মার্সেলকে বাংলাদেশের সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত করার দূঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে কোভিড পরবর্তী চলমান বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার কৌশল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। মার্সেল কর্তৃপক্ষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসা সম্পর্কে ডিস্ট্রিবিউটদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ফিতা কেটে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সে সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, ইভা রিজওয়ানা ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, প্লাজা টেড্রের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, সোহেল রানা, মাহফুজুর রহমান ও আল ইমরান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, শাহজালাল হোসেন লিমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মনিরুল হক, শহীদুজ্জামান রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান।
সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এস এম শামছুল আলম বলেন, বিশে^র এমন মন্দা পরিস্থিতিতে আপনারা ভীত হবেন না। হাল ছাড়বেন না। আস্থা হারাবেন না। পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ব্যবসায়িক কৌশলও পরিবর্তন করতে হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে আধুনিক কৌশল প্রয়োগ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
এস এম আশরাফুল আলম বলেন, মার্সেল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। অচিরেই বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ড হবে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের যত ধরনের সহায়তা দরকার, আমরা তা দেবো। বাংলাদেশের মার্কেট কেন আমরা বিদেশি ব্র্যান্ডকে ছেড়ে দেবো? দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। আমাদের নিজেদের দেশে তৈরি পণ্য দিয়ে বৃহৎ এই বাজারের শীর্ষে থাকবো।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমরা চাই ব্যবসায়িক অংশীদারগণ ভালো থাকুক। তাদের সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আমাদের। আমরা আপনাদের পাশে সব সময় ছিলাম এবং থাকবো। আমাদের একে অপরের ওপর আস্থা রেখে চলবো। সমস্যা ও সংকট আসবে। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে কৌশলী হয়ে সেগুলোর মোকাবেলা করতে হবে। বৈশি^ক মন্দা পরিস্থিতির মাঝে আমাদের ব্যবসায়িক কলাকৌশলগুলো অত্যাধুনিক হতে হবে। আর সেটা করলেই আমাদের ব্যবসা সাসটেইনেবল হবে। আশা করছি খুব শিগগিরই বৈশি^ক এ সংকট কেটে যাবে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে।
সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের সেরা ডিস্ট্রিবিউটরদের পুরস্কৃত করা হয়। ছিলো সি-বিচ পার্টি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আনন্দমুখর আয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।