বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বিশ্বনাথ লামাকাজী এমএ খান খান সেতুর মাত্র ১০টাকার টোল আদায় নিয়ে ৬ গ্রামবাসীর মধ্যে প্রায় আড়াই ঘন্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ ৬০রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ওসি গাজি আতাউর রহমানসহ প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক দোকানপাঠ, গাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটার অভিযোগ রয়েছে। শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এতে প্রায় আড়াই ঘন্টা সুনামগঞ্জ-সিলেট ও বিশ্বনাথে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ৬০রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও ৫রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সুত্রে জানাগেছে, রোববার রাতে উপজেলার লামাকাজী পয়েন্টে নাম্বার বিহীন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা লামাকাজী এমএ খান সেতুর টোল না দিয়ে যাওয়ার চেষ্টার করে। এসময় টোল আদায়কারিরা তাকে আটক করে ১০টাকা টোল দেয়ার কথা বলে। তখন নাম না জানা ওই অটোরিকশা চালকের আত্মীয়স্বজন লামাকাজীর মির্জারগাঁও গ্রামের গোলাম মৌলা ও জাকারিয়া নামের দু’জন লোক টোল বক্সের অফিসে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এনিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল সহকারে অটোরিকশা চালকের পক্ষে মির্জারগাঁও গ্রামবাসী ও টোলবক্সের পক্ষ নিয়ে সাঙ্গিরাই, মোল্লারগাঁও, কেশবপুর, কাজিরগাঁও ও দোকানীপাড়াসহ ৬টি গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো: সেলিম, ওসমানীনগর সার্কেল রফিকুল ইসলাম ও ডিভি পুলিশের ওসি রেফায়েত উল্লা ঘটনাস্থলে যান। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জাপা নেতা একেএম দুলাল’সহ ২৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার ১৭ অক্টোবর পুলিশ বাদি হয়ে ৬৮জনের নামে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৮। মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে। আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ অনেকেই জানান, উভয় পক্ষের ইটপাটকেলে আহত হন থানার ওসি গাজী আতাউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। বাকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় মেম্বার এনামুল হক এনাম ও ব্যবসায়ী ডাঃ শাহানুর হোসাইন বলেন, সংঘর্ষের সময় লামাকজী বাজারের প্রায় শতাধিক দোকানপাঠ ভাংচুর ও লোটপাট করা হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব হারিয়ে কান্না করে বাড়িতে চলে যান। এতে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তারা জানান। এবিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত জাহিদুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ অ্যসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।