Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রূপগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা, আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে কাজল রেখা নামের এক বাকপ্রতিবন্ধি গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে স্বামীসহ শশুরসহ বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নৌকার মাঝিরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। আটককৃতরা হলেন গৃহবধূর স্বামী জুলহাস মিয়া ও শ্বাশুড়ি সাহেরা খাতুন।
অপর ঘটনায়, যৌতুকের দাবিতে নাসিমা নামের আরেক গৃহবধূকে শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার আতলাপুর এলাকায় ঘটে এ নির্যাতনের ঘটনা।
বাকপ্রতিবন্ধি কাজল রেখার বোন আলেয়া বেগম জানান, বাড়ি উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায়। ৭ বছর আগে পিতলগঞ্জ গ্রামের জুলহাস মিয়ার সঙ্গে কাজল রেখাকে বিয়ে হয়। বিয়েতে এক লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণ, সেলাই মেশিনসহ আসবাবপত্র বোন জামাইকে দেন। গত কয়েক মাস ধরেই বাকপ্রতিবন্ধি বোন কাজল রেখাকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো স্বামীসহ বাড়ির লোকজন। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিচারও হয়েছে। গত রোববার সকাল ৬টার দিকে পিতলগঞ্জ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে কাজল রেখার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ ভাসতে দেখে নৌকার মাঝি মুনসুর মিয়া স্থানীয়দের সহযোগীতায় গিয়ে উদ্ধার করেন । অপর ঘটনায় গৃহবধু নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে জানান, তিনি উপজেলার চারিতালুক এলাকার সহিদুল্লাহ মাষ্টারের মেয়ে। পার্শবতী আতলাপুর এলাকার রেহান উদ্দিনের ছেলে শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে নাসিমা আক্তারের বিয়ে হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই যৌতুকের জন্য শ্বাশুড়ি ও ননদসহ বাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করতো। শনিবার রাতে শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে নাসিমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে আর্তচিৎকারে আশ-পাশের মানুষ এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, উভয় ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কৃষিজমি সুরক্ষার স্বার্থে স্থাপনা নির্মাণে সতর্ক থাকার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিজমি সুরক্ষার স্বার্থে স্থাপনা নির্মাণে সতর্ক থাকার সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটি। কমিটির বৈঠকে সংসদে উত্থাপিত ‘কৃষিজমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) বিল-২০২২’ অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত গতকালের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য রওশন আরা মান্নান ও গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, কৃষিজমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) বিল-২০২২’ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে বিলটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করে পরবর্তী বৈঠকে প্রতিবেদন পেশ করার সুপারিশ করা হয়। গত ৩১ মার্চ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান ওই বিলটি উত্থাপন করেন।
কৃষিজমির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণে সংসদে উত্থাপিত ওই বিলে বলা হয়েছে, আইন কার্যকর হওয়ার পর দেশের সব কৃষিজমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না বা অন্য কোনো কাজের জন্য ভাড়া বা ইজারা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না।
তবে ব্যক্তিগত বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ, কবরস্থান, শ্মশান, অন্যান্য ধর্মীয় সৎকারের স্থান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। প্রস্তাবিত আইনে কৃষিজমির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য তদারক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকের শুরুতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে শতভাগ রফতানিমুখী শিল্প এবং সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ