Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কলারোয়ায় কিশোরী আত্মহত্যার ঘটনায় ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৩

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৩:১৯ পিএম | আপডেট : ৩:৫০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

পিতৃহীন ষোড়শী আফরোজা আত্মহত্যা ঘটনায় কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। ব্যাভিচারের মিথ্যা অভিযোগে বেঁধে রাখার ছবি ইণ্টারনেটে ছড়ানো ও শালিসের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের লজ্জায় কাল শনিবার বিকালে আফরোজা আত্মহত্যা করে।

নিহত আফরোজা উপজেলা সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত নূর মহম্মদের কন্যা। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক্টর ড্রাইভার মাগুরা সদর থানার পাইকবাড়ি গ্রামের চাদ চক্রবর্তীর পুত্র নিমাই (২৬) সোনাবাড়িয়া গ্রামের হাসান নামে এক পঙ্গু ব্যক্তির বাড়িতে প্রায়শ অবস্থান করত এবং ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের কাজ করত। আফরোজা পঙ্গু হাসানের প্রতিবেশী।

গত শুক্রবার জুমা নামাজের সময় আফরোজা প্রতিবেশী হাসানের বাড়িতে আসে। এসময় এলাকার কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে আফরোজা ও ট্রাক্টর ড্রাইভার নিমাইকে এক সংগে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে আনে।

এই ঘটনায় ট্রাক্টর ড্রাইভার নিমাইয়ের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা জরিমান আদায় করা হয়। এদিকে সোনাবাড়িয়ার সাধন ঋষির পুত্র জয়দেব দু’জনের বেঁধে রাখার ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে। এতে চাচারা পিতৃহীন আফরোজাকে মারপিট করে। ফলে অপমানে রাগে ক্ষোভে কাল শনিবার বিকালে আফরোজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। মাতার অভিযোগে পুলিশ কাল শনিবার সন্ধায় আফরোজার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ এবং সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশ ইসমাইল এবং ফেসবুক ব্যবহারকারী জয়দেবকে আটক করে।

টেলিফোনে কলারোয়া পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ