বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুবকর ছিদ্দিকী নামাজে জানাজা রোববার বাদ আছর পেকুয়া জমিদার বাড়ির মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পেকুয়া জমিদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার পিতা সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এড. ফিরোজ আহমদ চৌধুরীর পাশে তাকে দান করা হয়। তিনি ১৫ অক্টোবর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

তবে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সৈনিকের বিদায়কালে গার্ড অব অর্নার না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার স্বজনরা। কক্সবাজার জেলা ও পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি যেন বেমালুম ভুলে গেছেন।

মরহুম এড. আবুবকর ছিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধা ও দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিগ্যাল ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। মরহুম এড. আবুবকর ছিদ্দিকী কক্সবাজার জেলার অন্যতম জমিদার, প্রখ্যাত আইনজীবী, সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য ও ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম এড. ফিরোজ আহমদ চৌধুরীর ৩য় পুত্র।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন। এজন্য তিনি সনদ ও অর্জন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে। আজীবন একজন মুক্তিযোদ্ধার সরকারী সুযোগ সুবিধাও পেয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু মৃত্যুকালে গার্ড অব অর্নার নাপাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য অসম্মানজনক আচরণ বলেই মনে করছেন স্বজনরা।

মরহুম এড. আবুবকর ছিদ্দিকী দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার লং লাইফ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

মরহুমের ইন্তেকালে তাঁর মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক পিপি এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সাবেক প্রিন্সিপ্যাল ওমর ফারুকসহ আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, এড. আবুবকর ছিদ্দিকী গার্ড অব অর্নার না পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিলনা। হয়ত জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও বিষয়টি খেয়াল করেনি।