Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পঞ্চগড়ে নির্বিচারে গাছপালা নিধন

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেন। যা আমরা প্রকৃতি থেকে বিনা মূল্যেই পেয়ে থাকি। এ অক্সিজেনের একমাত্র উৎস হলো গাছপালা ও জলজ উদ্ভিদ শ্যাওলা। কিন্তু পঞ্চগড়ে বিভিন্ন অজুহাতে সড়কের লাখ লাখ গাছ নিধন করা হচ্ছে বেপরোয়া গতিতে। গাছ নিধনে লাভের চেয়ে পরিবেশের ক্ষতির সম্ভবনাই বেশি বলে মনে করছেন পরিবেশবীদরা। গত দশ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে গত ২ বছর। শুধু তাই নয় চা রোপনের নামেও নিধন করা হচ্ছে বাঁশঝাড় শত বছরের পুরনো জঙ্গল।
জানা যায়, বর্তমান সরকার প্রধান সম্প্রীতি কৃষক লীগের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসে তাদের প্রতিটি সমর্থককে তিনটি করে গাছ রোপনের কথা বলেছেন। তিনি আহবান করেন সবুজ শ্যামল দেশে পরিবেশ ঠিক রেখে উন্নয়ন কাজ করার। কিন্তু পঞ্চগড়ের চিত্র সম্পূর্ন আলাদা। সড়ক উন্নয়ন আর ইউক্যালিপ্টাস গাছ পরিবেশের ক্ষতির দোহাই দিয়ে কাটা হচ্ছে আকাশমনি, মেহগনি কাঁঠাল, শিশুকাঠ। কয়েক বছরের তুলনায় এ ২ বছরে সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হয়েছে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সড়কে, বাদ পড়েনি শত বছরের ফলের গাছও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার তিনমাইল, শুড়িভীটা, ডাঙ্গাপাড়া, খালপাড়া, ঝাকুয়াকালী, ভেলকুপাড়া, মাঝিপাড়া, হাড়িভাসা, আমকাঠাল, সাহাবীজোত, অমরখানা, হাফিজাবাদ, মডেল, গরিনাবাড়ি, আটোয়ারী উপজেলার গিরাগাঁও, বারঘাটি, পাটশিরি, বলরাম, তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর, এ রকম শতাধিক গ্রামের সড়কের চিত্র গাছ কেটে মরুভুমিতে পরিনত হয়েছে। ফুটকিবাড়ি এলাকার ভ্যানচালক আইবুল হক বলেন, আগে সড়কে গাছ ছিল ভ্যান থামিয়ে বিশ্রাম করা গেছে। যেভাবে দিন দিন গাছ কাটা হচ্ছে সেই সুযোগটুকু আর থাকবেনা। একই কথা বলেন, খালপাড়া এলাকার পথচারী মজিবর রহমান। পরিবেশকর্মী রসুল বকস মানিক জানান, একবার গাছ কেটে ফেললে আবার আগের অবস্থায় যেতে অনেক সময় লাগবে। তাই গাছ কাটার আগে, সব কটি বিকল্প চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ঋষিকেষ চন্দ্র রায় জানান, গাছ বিক্রয় কমিটিতে আমরা আছি শুধু সহি করার জন্য।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আমিরুল ইসলাম জানান, ৩০-৩৫ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ ও ফেডারেশন চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কে গাছ রোপন করা হয়। তবে ইউক্যালিপ্টাস ছাড়া অন্য কোন গাছ কাটা মোটেও ঠিক হবে না। সেটি আমাদের পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ