বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাত পোহালেই (সোমবার- ১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে চেয়ারম্যান পদে ভোট না হওয়ায় অনেকটাই আমেজহীন এ নির্বাচন। তবে এ নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে টাকার খেলাও চালাচ্ছেন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এরমধ্যে সদস্য পদে একাধিক রাজনীতিক ব্যক্তি রয়েছেন, তারা টাকার সাথে নিজদের দলীয় প্রভাবও লাগাচ্ছেন কাজে। তদবির করছেন তাদের পক্ষে প্রশাসনের স্থানীয় পদস্থরা সহ সামাজিক প্রভাবশালীর্ওা। এমন তথ্য মিলছে নানা আলোচনায়।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে। কাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার (প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে) ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয়সহ গ্রহণ করেছে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্র প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ দিন করে নিয়োজিত থাকবে সাত জনের ফোর্স। ভোটের আগে ও পরে থাকছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করবে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, র্যাব-এর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, নির্বাচনের দিন (সোমবার) প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, অস্ত্রসহ আনসারের দুজন ও অঙ্গীভূত আনসারের দুজন সদস্য- এই মোট সাত জন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও তারা ভোটের আগে একদিন ও পরে একদিন ভোটকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় পালন করবেন দায়িত্ব।
ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব ও পরিস্থিতি অনুসারে জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বৃদ্ধি করতে পারবেন পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ফোর্সের সংখ্যা।
নির্বাচন অফিসার আরও জানান- ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই সিলেটের প্রতিটি ভোট কক্ষ এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে লাগানো থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য গঠন করা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল। প্রতি কেন্দ্রে থাকবে টেকনিক্যাল টিম।
প্রসঙ্গত, সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তবে কাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে ১৭ জন নারী এবং ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ প্রার্থী মিলে দু’টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ৬৪ প্রার্থী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।