পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছে। দেশের বড় দুই দলের এই মুখোমুখি অবস্থানে রাজনৈতিক সংঘাতের পথে এগিয়ে চলছে দেশ। এ থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোট বিকল্প সরকারের অধীনে নির্বাচন তথা ‘তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ তদারকি সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম জোটের মতবিনিময় সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রোহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিয়েও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল রেখে সব দল ও জনগণের জন্য নির্বাচনের সমান সুযোগও তৈরি হবে না। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সব দল ও সমাজের অপরাপর অংশের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নতুন করে ইসি পুনর্গঠন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরির্হায হয়ে পড়েছে। যা আজ গণ দাবিতে পরিণত হয়েছে।
বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, আমরা বাম জোট দীর্ঘদিন ধরে এ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। এই দাবিতে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি আদায় করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আলোচনরা বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের সমান সুযোগ এবং অবাধ- ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ের নিশ্চয়তা বিধান হলো একটি অবাধ-নিরপেক্ষ-অংশগ্রহণমূলক-অর্থবহ নির্বাচনের প্রাথমিক ও মৌলিক উপাদান। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণকে এ ন্যূনতম সুযোগটি থেকেও বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বুর্জোয়া শাসকরা তাদের দলীয় স্বার্থে নির্বাচন ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে বহুলাংশে এক কুৎসিত ‘টাকার খেলা’, ‘পেশিশক্তির প্রতিযোগিতা’, ‘প্রশাসনিক কারসাজি’ ও ‘সাম্প্রদায়িকতার বিভাজন সৃষ্টির’ ওস্তাদিতে পরিণত করা হয়েছে। জনমত নয়, দেশি-বিদেশি শাসক শোষকগোষ্ঠীর ইচ্ছা এবং ‘অর্থ-অস্ত্র-ম্যানিপুলেশন নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে নিয়ামক করে ফেলা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সবার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হওয়া কথা। অথচ দেশে আজও গণতন্ত্র নেই। জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত ইসি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সুমাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঐক্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. এস এম এ সবুর, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোশতাক হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।