বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চম্পা বেগম খুনের প্রায় ২০ বছর ছেলে আফতাব খন্দকার খুন হয়েছেন। সেই সাথে খুন হয়েছেন প্রতিপক্ষ রুহুল আমিনও। সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত চলনবিল অঞ্চলের বামিহাল গ্রামে আধিপত্য নিয়ে নতুন করে দুইটি খুন হওয়ার পর এলাকা অশান্ত হয়ে উঠেছে । এলাকাবাসী জানান, গত ১৮ বছরে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ পুলিশসহ ১১ জনকে খুন এবং ৪ জনের পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে সাথে এদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৫ সালে বামিহাল পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে লুটসহ ৩ আমর্ড পুলিশকে হত্যা করে সর্বহারা সদস্যরা। এরপর থেকে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রতিপক্ষের হামলায় ইতিপূর্বে শাজাহান, আনসার আলী, সোহান,আইয়্যুব আলীসহ অনেকেই খুন হয়েছেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আফজালবাহিনী দল পাল্টে আওয়ামী লীগ যোগ দেন। অপরদিকে বিএনপি নেতা কুদ্দুস বাহিনীর অনুসারিরা ও তার ভাই ফরিদ উদ্দিন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বনে যায়। ২০১৩ সালে ফরিদ ও কুদ্দুস বাহিনীর অনুসারিরা মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ২০১৪ সালে ফরিদকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালে আফজাল বাহিনীর প্রধান আফজাল ও তার ভাই আনসার বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আফতাব খন্দকার এই গ্রুপের নেতৃত্বে আসেন। সন্ত্রাসী হামলার শিকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, বামিহাল গ্রামের নেতৃত্বদানকারীরা সুযোগ সন্ধানীরা যে দল যখন ক্ষমতায় আসে তখনই এরা ভোল পাল্টে সেই দলেই ভিড়ে যায়। সম্প্রতি ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিনের অনুসারি দুলাল আকন্দের বাড়ি থেকে পুলিশ চোরাই বৈদ্যুতিক মোটর উদ্ধার করে।
আর এ ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়। জামিনে বেড়িয়ে এসে ৯অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে আফতাবের কয়েকজন অনুসারী ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিনের অনুসারী আবু মুসাও রুহুল আমিনের দশোপাড়া গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনার জেরে বামিহাল বাজারে আফতাব ও তার সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা করে রহুল আমিন ও মুসার লোকজন। দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে আফতাব ও রুহুল আমিন নিহত হয়। হামলা-মামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই।
এরআগে ২০০৩ সালে আফতাব খন্দকারের মা চাম্পা বেগম সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ৯ অক্টোবর খুনের ঘটনায় উভয় পক্ষের দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় ৬২ জনকে আসামি করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত, পুলিশি অভিযানে ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের ৫জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।