পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ আজ শনিবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ব্রুনাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ঢাকা সফরে আসছেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে নিয়ে যাওয়া হবে।
ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং ‘দর্শনার্থী বইয়ে’ স্বাক্ষর করবেন।
প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। একইদিন আজ সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হোটেলের সভা কক্ষে তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিন সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন। সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
১৬ অক্টোবর সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের (পিএমও) শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন। পরে পিএমও’র চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দু’দেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে ‘দর্শনার্থী বইতে’ স্বাক্ষর করবেন। তিনি ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।