Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে ধরলার তীব্র ভাঙ্গন মুখে পাঁচ শতাধিক পরিবার

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ২:২৬ পিএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কোন ভাবে ধরলার তীব্র ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল এলাকায় ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে ১০ টি বাড়ী-ঘর, অর্ধ কিলোমিটার সড়কসহ ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে প্রায় চার শতাধিক পরিবার। অন্য দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম এলাকায় ধরলার ওপারে ৭ টি বাড়ী-ঘর ও ফসলি জমি ধরলায় বিলীন হয়েছে। হুমকির মূখে শতাধিক পরিবার। ধরলার তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় উপজেলার চরগোরকমন্ডল ও ধনিরাম এলাকার শতশত পরিবার আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। চর-গোরকমন্ডল এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ হাজার ২শ জিও ব্যাগ দিয়ে মাত্র ৩শ গজ এলাকা ভাঙ্গন ঠেকাতে পেরেছে। গত ১ সপ্তাহে ধরলার তীব্র ভাঙ্গন দেখা গেলে ধরলা পাড়ের মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা না করলে চর-গোরকমন্ডল গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা। ভাঙ্গন রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৃ-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

চর গোরকমন্ডল এলাকার আজিজুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত আড়াই তিন মাসে প্রায় ৩০ টি পরিবারসহ ভুট্টা,আঁখসহ বিভিন্ন ফসলি জমি, গাছপালার বাগান ও বাঁশঝাড় নদী গিলে খেয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ হাজার ২০০ জিও ব্যাগ দিয়ে মাত্র ৩শ গজ এলাকা ভাঙ্গন ঠেকানো গেলেও গত এক সপ্তাহে ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে ৮ থেকে ১০ টি বাড়ী-ঘরসহ একমাত্র সড়কটির বড় অংশ নদীতে চলে গেল। ভাঙ্গন রোধ করতে না পাড়লে আবারও বাড়ী ভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হবে। তারা দ্রুত ভাঙ্গন রোধ করতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।

বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিবার ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আমার এই গ্রামটি ধরলা নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ধরলার পূর্ব পাড়ে দুই কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা এখনও চলমান আছে। তার দাবী ধরলার পশ্চিম পাড়ে কয়েকদিনের তীব্র ভাঙ্গনের ৭ টি বাড়ী-ঘর ও শতশত বিঘা ফসলি জমি ধরলার গর্ভে বিলীন হয়েছে। সেই সাথে ভাঙ্গন হুমকিতে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে ধনিরাম এলাকার ধরলার পশ্চিম তীরে ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবী জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, চর গোরকমন্ডল এলাকার নদী ভাঙ্গন উদ্বেগ জনক। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে আবেদনটি সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে দেওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ হাজার ২শ জিও ব্যাগ বরাদ্দ করেছে।মা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান,চর-গোরকমন্ডল এলাকায় ভাঙ্গন ঠেকাতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ হাজার জিও ব্যাগের প্রয়োজন। তিনি চর গোরকমন্ডল গ্রামটি ধরলার ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে আবারও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম এলাকায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলমান আছে। সেই সাথে ধরলা ভাঙ্গন ঠেকাতের চর-গোরকমন্ডল এলাকাতেও আপাতত ২ হাজার ২০০ জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর রাখছি। সেই সাথে চরগোরকমন্ডল এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় দ্রæত ভাঙন প্রতিরোধের জন্য পানি উন্নয়ন কাজ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ