পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়নের অংশিদার হিসেবে বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামূক্ত নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি। ঢাকায় কর্মরত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার বলেছেন, সমালোচনা হলেও বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের কথা তিনি বলে যাবেন এবং তার দেশ বলতেই থাকবে। বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জার্মানি সহিংসতা মুক্ত রাজনীতির জন্য বাংলাদেশের স্টেক হোল্ডারদের প্রতি আহŸানও জানিয়ে যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় জার্মান বিজনেস কাউন্সিলের যাত্রা উপলক্ষে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
আখিম ট্রোস্টার বলেন, জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহী। এই বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিবেশ থাকা জরুরি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রæ না ভাবার উন্মুক্ত আহŸান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় জার্মানি। একইসঙ্গে নির্বাচনকে ঘিরে রাজপথে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেটাও আশা করে তার দেশ। বাংলাদেশে জার্মান বিজনেস কাউন্সিলের (জিবিসি) কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন জিবিসি জার্মান ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি জার্মান দূতাবাসের উপদেষ্টা সংস্থা হিসেবেও কাজ করবে।
বাংলাদেশে এতোদিন জার্মান কোম্পানিগুলোর কোনো প্ল্যাটফর্ম না থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, অতীতে বাংলাদেশে জার্মান ব্যবসার প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব অনুপস্থিত ছিল। জিবিসি বাংলাদেশে সম্পূর্ণরুপে জার্মান ব্যবসায়িক স্বার্থের একটি প্ল্যাটফর্ম হবে বলে আশা করি। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয় জিবিসি। এটি ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানও।
সংবাদ সম্মেলনে জিবিসি চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুল হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অংশীদার হবে। জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানিকারক। ২০২১ সালে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬০ জার্মান কোম্পানি তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশী ক‚টনীতিকদের কথা বলায় বিরক্ত সরকার। এ নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা সমালোচনামূখর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন বিদেশী কূটনীতিকরা যেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা না ঘামায়। তিনি ছাড়াও প্রায়শই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ক‚টনীতিকদের সাক্ষাৎ-বৈঠক এবং বক্তৃতা বিবৃতির ক্ষেত্রে ক‚টনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলার তাগিদ দেয়া হয়। কিন্তু দাতাদেশ ও সংস্থাগুলো আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য দেখতে চায়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তারা ভালভাবে নেননি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।