নির্বাচন কমিশনের চাইতে নির্বাচনকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

মির্জা ফখরুল জানান, এবার একটি জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। সে কারণে নিজেরাই নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হলো। এর মধ্যদিয়ে আমাদের কথার সত্যতা প্রমাণিত হোলো যে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব নয়। এর মধ্যদিয়ে আরো এটি বার্তা আসলো, নির্বাচন কমিশনের চাইতে নির্বাচনকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দেশের স্বার্থে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকার ব্যবস্থা প্রয়োজন। এর জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। চট্রগ্রামের ১২ অক্টোবরের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বিভাগে আন্দোলনের মাধ্যমে দ্রæতই এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আগামীতে যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী আছেন কেন? দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তো তার। যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করতে না পারেন তাহলে আপনি পদত্যাগ করুন। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে না পাড়লে আপনার প্রধানমন্ত্রী থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নুর করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, মো. জাফরুল্লাহ, জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।