পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড আইনের শাসনের পরিপন্থী। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে বন্ধপরিকর। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনবহির্ভূত হত্যা বা অত্যাচার যেটাই হোক না কেন, যদি এটা সরকারের নজরে আনা হয় ব্যবস্থা করা হবে এবং তা করা হবে অত্যন্ত শক্ত হাতে। তিনি আরো বলেন, আইনবহির্ভূত হত্যাকা- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে বিরাট প্রতিবন্ধকতা। ফলে এগুলো আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে এবং আপনারা যেগুলো খবরে কাগজে দেখেছেন সেগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। সাম্প্রতিক নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে এবং এ কারণেই অনেক তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে। মানবাধিকার আইনের ১৮ ধারা সংশোধন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশন এ ধারার সংশোধন চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রস্তাব পাঠালে তা বিবেচনা করা হবে।
ধর্ষণ মামলার আসামি খালাস পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে তারা খালাস পাচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে পরিবার ও ভিকটিমের যথোপযুক্ত সাক্ষীর প্রয়োজন। এ বিষয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সহযোগিতা করতে হবে। কোনো প্রলোভন বা চাপে সাক্ষ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, বিশেষ বিধানের আলোচনায় গিয়ে আমরা আইন প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্যকেই ভুলে যাচ্ছি। এ আইনের মূল কথা হচ্ছে ১৮ বছরের আগে কোনো কন্যাকে এবং ২১ বছরের আগে কোনো পুরুষকে বিয়ে দেয়া যাবে না বা তারা বিয়ে করতে পারবে না। কেবল বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পিতা-মাতার সম্মতিতে এবং আদালত অনুমতি দিলে ১৮ বছরের আগে কোনো কন্যাকে বিয়ে দেয়া যাবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার শিশু আইলান কুর্দি সমুদ্রে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনায় সারা পৃথিবী এ ব্যাপারটি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কেউ কোনো কথা বলে না। কারণ মিয়ানমার অনেক ‘বড়লোক’ দেশ। বাংলাদেশ ১৬ কোটি দেশের মানুষ। অনেক কিছু চাইলেই করতে পারি না। ৩০-৩৫ হাজার রোহিঙ্গার ব্যবস্থা আমাদের ছিল। কিন্তু এখনও ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আমাদের রিসোর্স যতটুকু আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি একটি আলোড়ন সৃষ্টি করতে যাতে সকলেই তাদের প্রতি এগিয়ে আসে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম এবং ইউএনডিপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ডও বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।