Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তাল জনসমুদ্রে এক দফা

চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখো জনতার ঢল অবিলম্বে পদত্যাগ করুন নইলে পালানোর পথ পাবেন না : মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে লাখো জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উত্তাল বিভাগীয় গণসমাবেশের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতারা সরকার পতনে এক দফা ডাক দিয়েছেন। তারা বলেছেন, চট্টগ্রামের লাখো জনতা সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার চূড়ান্ত বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন। জনতার মুহূর্মুহূ করতালি ও গগণবিদারী স্লোগানের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠন করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরাপদে চলে যান। তা না হলে পালানোর পথও পাবেন না। এক দফা এক দাবি, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

জ¦ালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং বিএনপির পাঁচ নেতা হত্যার প্রতিবাদ ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের ১০টি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিন গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের পতন আন্দোলন শুরু হলো উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হওয়ার কোন বিকল্প নেই। কারণ দানবীয় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান।

বন্দরনগরীর প্রাণকেন্দ্রে রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এ গণসমাবেশে লাখো জনতার ঢল নামে। ছয় লাখ বর্গফুটের বিশাল ময়দান ছাড়িয়ে জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ে আশপাশের পাঁচ বর্গ কিলোমিটার এলাকায়। টাইগারপাস মোড় থেকে দেওয়ানহাট, কদমতলী, পুরাতন স্টেশন, বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, সিআরবি হয়ে লালখান বাজার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয় জনতার উত্তাল ঢেউ। সড়ক, ফুটপাত, অলিগলি, পাহাড়, টিলা কানায় কানায় ভরে যায়। এত বিশাল জনসমাবেশ চট্টগ্রামে অতীতে কখনও দেখেনি কেউ। পথে পথে শাসক দলের চোরাগুপ্তা হামলা, পুলিশের বাধা, ধরপাকড়, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর ১০ সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মী সেইসাথে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার অংশগ্রহণে বিএনপির বিভাগীয় এ মহাসমাবেশ এ যাবৎকালের সবচাইতে বৃহৎ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। দুপুরের আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জনতার স্রোত শুরু হয় পলোগ্রাউন্ড অভিমুখে। বেলা ২টায় জনসভা শুরুর আগেই কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় পলোগ্রাউন্ড ও আশপাশের এলাকা।

এরপরও একের পর এক আসতে থাকে মিছিল। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীরা বাসে, ট্রাকে এবং হেঁটে মিছিল নিয়ে যোগ দেন জনসভায়। অনেকে বর্ণিল পোশাকে ডাক-ঢোল-বাজনা বাজিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। তাদের হাতে ছিল বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ। নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি পেশা বয়সের মানুষকে দেখা যায় সমাবেশে। ভ্যাপসা গরম আর জনতার প্রচণ্ড ভিড়ে হাসফাঁস অবস্থার মধ্যেও লোকজনকে গভীর আগ্রহ নিয়ে নেতাদের বক্তব্য শুনতে দেখা যায়। বিভাগীয় মহাসমাবেশে এ অঞ্চলের সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে ব্যাপক শোডাউনও করে নেন। উপজাতীয় পোশাকে তিন পার্বত্য জেলার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আলেম-ওলামা, নারী এবং স্কুল-কলেজের ইউনিফর্মে শিক্ষার্থীদেরও সমাবেশে দেখা যায়।

অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শতাধিক নেতা বক্তব্য রাখেন। বিএনপি নেতারা বলেন, এখন থেকে আন্দোলনে বাধা আসলেই প্রতিরোধ করা হবে। তারা পুলিশ বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার পালিয়ে যাবে। কিন্তু আপনার নিরপেক্ষ না থাকলে পালানোর পথও পাবেন না। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এ আন্দোলন আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনে পরিণত হবে। তার আগেই তারা সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ‘হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ-খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ’ সহ নানা স্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করেন নেতাকর্মীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে সে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাই নতুন করে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এ লড়াই কঠিন লড়াই এতে আমাদের জিততেই হবে। আর তা না হলে স্বাধীনতা থাকবে না, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। এ সরকার অবৈধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নির্বাচিত নয়, তাদের কোন ম্যানডেট নেই। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এবং ২০১৮ সালে রাতের ভোটে তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। জাতির উপর এক দানবীয় শাসন চেপে বসেছে। দেশে ভয়াবহ লুটতরাজ চলছে। জনগণের সম্পত্তি, অর্থ ডাকাতি করে তারা কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি করছে। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করছে। বিদেশে অর্থ পাচার করছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। জনগণের নিরাপত্তা নেই, গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। মানুষের সম্ভ্রম, মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে না।

বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করা হয়েছে। এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে এ দানবীয় সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশে কোন নির্বাচন হবে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে দেশে চলমান সব সমস্যার সমাধান করা হবে। দ্রব্যমূল্য কমানো হবে, বিদ্যুৎ, গ্যাস সঙ্কট নিরসন করা হবে, বেকারদের কর্মসংস্থান করা হবে। দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পলোগ্রাউন্ডে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার উত্তাল তরঙ্গ প্রমাণ করে জনগণ এ সরকারের সাথে নেই। তারা শেখ হাসিনাকে এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতায় দেখতে চান না। বিগত ১৫ বছর বিএনপির উপর ব্যাপক জুলুম, নিপীড়ন চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতোকিছুর পরও বিএনপিকে দুর্বল করা যায়নি। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, বিএনপির সাথে নিরপেক্ষ আচরণ করুন। শেখ হাসিনা আত্মীয়স্বজন নিয়ে পালিয়ে যাবেন, কিন্তু আপনার পালাতে পারবেন না। যারা এখনো বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছেন নিরপেক্ষ আচরণ করছেন না তাদের তালিকা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনতা একদিন তাদের বিচার করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। এখন চলছে শেখ হাসিনার ইচ্ছাতন্ত্র। আমাদের যুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ। এখন থেকে এ যুদ্ধে যেখানে বাধা সেখানেই প্রতিরোধ। জনতার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এখন সামনে আগানো ছাড়া কোন উপায় নেই। চট্টগ্রামের এ বিশাল জনসমুদ্র প্রমাণ করে মানুষর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জনতার শক্তির কাছে হাসিার স্বৈরশাসনের পতন অনিবার্য। যারা জীবন দিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। প্রহসনের নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না, পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের লাখো মানুষ এ মহাসমাবেশে হাজির হয়ে শেখ হাসিনার প্রতি চূড়ান্ত অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। এখনই শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত। এ মহাসমাবেশ প্রমাণ করে চট্টগ্রাম বিএনপির ঘাঁটি, বেগম খালেদা জিয়ার ঘাঁটি। চট্টগ্রাম থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, এ আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। মহসমাবেশ বানচাল করতে নানা চক্রান্ত হয়েছে, আগের রাতে পুলিশের কিছু অংশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিয়েছে। পথে পথে গাড়ি আটকে দেয়া হয়েছে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও জনতার উত্তাল তরঙ্গ ঠেকানো যায়নি। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে, হাসিনার পতন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া জনতা ঘরে ফিরবে না। জুলুম, নির্যাতন, দমন, পীড়নে, জ¦লে, পুড়ে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী এখন খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। হামলা করে তাদের আর ঠেকানো যাবে না। ভোট চুরির পাঁয়তারা করলে এবং এ পাঁয়তারায় কেউ সহযোগিতা করলে জনতার কাউকে ছেড়ে দেবে না। কাউকেই পালাতে দেবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ হাসিনার হায়েনা সরকার গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আজ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। জনগণ জেগে উঠেছে, তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই। দুর্বার গণআন্দোলনের শেখ হাসিার তক্ত খান খান হয়ে যাবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ জনসমুদ্র প্রমাণ করে শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ তাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, গণতন্ত্রকে মুক্তি দিন।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনুন, তা না হলে ১০ ডিসেম্বরের পর পালানোর পথ পাবেন না। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের ভূমিমন্ত্রী বলেছেন পুলিশ আওয়ামী বান্ধব বলেই সরকার টিকে আছেন। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন শেখ হাসিনাকে এ দফা টিকিয়ে রাখতে যা যা করার দরকার ভারতকে তা করতে বলেছেন। এ দুই মন্ত্রীর কথায় প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনার দিন শেষ।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বক্কর ও এস এম সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, জয়নাল আবেদীন, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ, বেলাল আহমেদ, সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, এম ওয়াদুদ ভূঁইয়া, কৃষক দলের জাফরুল ইসলাম তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানীসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখেন। দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সমাবেশে ছিলেন না। ##



 

Show all comments
  • MD ARSHADUL HAQUE ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৭ এএম says : 0
    ঠিক।ইনশাআল্লাহ এই জালিম সরকারের পতন হবে
    Total Reply(0) Reply
  • MH Mahabur Rahman ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৬ এএম says : 0
    বাকশালিদের সমাবেশে গেলে মিলে বিরিয়ানি, আর বিএনপির সমাবেশে গেলে মিলে মামলা হামলা। তারপরেও বিএনপি কে দমানো যাচ্ছে না, এইটাই বলে বিএনপি এই দেশের গণমানুষের দল
    Total Reply(0) Reply
  • Shohel Mostafiz ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৬ এএম says : 1
    আন্দোলন আর রাজনৈতিক কর্মসূচি এক বিষয় নয়। একটি রাজনৈতিক দল তার কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করার পর তা আন্দোলনে রূপ নেয়। বিএনপি সেটি কখনই করতে পারেনি এবারও পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Ahmmed ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৭ এএম says : 0
    সৈরাচার সরকার পতনে লাঠি সোটা নিয়ে আন্দলোনের কোনো বিকল্প নাই
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৭ এএম says : 0
    রক্ত ছাড়া বিপ্লব হয় না। বিপ্লব ছাড়া কোন দাবি আদায় হয় না। বিএনপি রক্ত দেওয়া শিখে গেছে। বাংলাদেশের ফায়সালা রাজপথেই হবে, ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Ra Him Ra Him ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৭ এএম says : 0
    Congratulations Shahid president ziaur rahman shoulders only love our mother land & Shahid zia family
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ