পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমী অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
স্টাফ রিপোর্টার : আল্লামা আহমদ শফী ও ফরিদ উদ্দিন মাসুদের বৈঠক দেড়শ’ বছরের কওমী মাদরাসার ঐতিহ্যকে ধ্বংস করবে। গতকাল হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত কওমী মাদরাসার চারটি বোর্ডের কর্ণধারদের বৈঠকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি স্বীকৃতি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শাপলা চত্বর ও শাহবাগের বিপরীত দুই মেরুর সমন্বয় দেখে ধর্মপ্রাণ জনগণ হতভম্ব। স্বীকৃতির জন্য ঐক্যবদ্ধ বৈঠক, বেফাকের সাথে অন্যান্য বোর্ডের সমন্বয় ও কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দেড়শ’ বছরের কওমী ধারার বুকে একটি ক্যান্সার ছাড়া আর কিছু নয়। গত শুক্রবার ছাত্র সমাবেশে বক্তৃতাকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শায়খুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক এসব কথা বলেন। বক্তব্য দেয়ার পরপরই এ বার্তা কওমী অঙ্গনে পৌঁছে দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
৬ মে ’১৩ শাপলা চত্বরে শহীদ জনৈক ছাত্রের পিতা মিডিয়াকে জানান, আল্লামা আহমদ শফীর ডাকে দেশবাসী জেগে উঠেছিল। আল্লাহর রাসূলের শান ও মর্যাদা রক্ষার্থে আমার পুত্রসহ অনেকেই জীবন দিয়েছে। এখন শাপলা ও শাহবাগ যদি একাকার হয়ে যায় তাহলে তারা কেন জীবন দিলো? আল্লামা শফী আর মাসুদ কি তাহলে এক?
উল্লেখ্য যে, গতকালের বৈঠকে কওমী অঙ্গনের সকল ধারার এ মিলনমেলায় দেশের কওমী আলেম, অভিভাবক, ছাত্র, শিক্ষক ও শাপলা চত্বরে নির্যাতিত লোকজনের মনে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শোলাকিয়া মাঠের একজন প্রবীণ মুসল্লি মিডিয়ার সামনে মন্তব্য করেন, শত শত বছরের শোলাকিয়া মাঠকে সোয়া লাখ ও তিন লাখ থেকে নামিয়ে এনে যে শাহবাগী ইমাম সোয়াশ’ মুসল্লির মাঠে পরিণত করেছেন তার সাথে আল্লামা শফীসহ দেশের আলেমরা কিসের ঐক্য করলেন আমরা তা জানতে চাই। জনগণকে বোকা বানানোর পথ ছেড়ে আলেমদের স্পষ্ট ভূমিকায় আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।