Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় হত্যা মামলার রায়

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বগুড়ায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর শাহজাহান হত্যা মামলার রায়ে আদালত ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রশিদ মৃধাসহ ১১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলো- বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম মৃধা, বিপ্লব মিয়া, রাসেল মিয়া, জুয়েল প্রাং, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আ.মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আ. হামিদ খোকা আকন্দ এবং জাহেদুর রহমান। এদের মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল পলাতক থাকলেও অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে আব্দুস সাত্তার খা এবং রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে রশিদ মৃধা জয়লাভ করে ১১ ফেব্রুয়ারি তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থান ঘোরেন এবং সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেখেরকোলা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের সাথে রশিদ মৃধার দেখা হয়। তখন রশিদ মৃধা ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে শাহজাহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিতে থাকে। রশিদ মৃধার এমন হুমকি পেয়ে তার সহযোগীরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে শাহজাহানের উপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে তারা শাহজাহানের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহান ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান। পরে ওইদিনই রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামি করে ১১জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মাহমুদুর রহমান। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ১১ জুন রশিদ মৃধাসহ ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ