বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঞ্চল্যকর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আব্দুল হালিমের আদালতে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাবুল আক্তারসহ কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
বাবুল আক্তারের পক্ষে তার আইনজীবী পৃথক তিনটি আবেদন আদালতে দাখিল করেন। সেগুলোর ওপরও শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দাখিল করা অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেন। এখন বিচার শুরুর জন্য প্রস্তুত করে মামলার নথি পাঠানো হবে মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
নগর পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানিয়েছেন, অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে পুনঃতদন্ত দাবি করেন। আদালত সেটা নাকচ করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচার শুরুর জন্য প্রস্তুত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে প্রধান আসামি করা হয় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অন্য আসামিরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।
এদিকে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, জেলকোডের ৯১০ ধারা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া, আইনজীবীর সঙ্গে একান্তে কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রদান এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করা বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলার তদন্তের কোনো সাক্ষ্য চলতি মামলার নথির সঙ্গে সংযুক্ত না করার বিষয়ে তিনটি আবেদন করা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে ডিভিশন দেয়ার বিষয়টি কারাবিধি অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
একান্তে কথা বলার জন্য সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আমরা বাবুল আক্তারের সঙ্গে এডিসি-প্রসিকিউশনের কক্ষে বসে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। এরপর উনাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তৃতীয় আবেদনটি আদালত আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
বিগত ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআই হেফাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।