রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুড়ার গাবতলী বালিয়াদিঘীর তল্লাতলা গ্রামের বেকার যুবক শাদজ্জামান’কে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ জহুরুল ও আমজাদ অর্থআত্মসাৎ করে প্রতারণা ঘটনায় পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করায় অভিযুক্তরা দিনমজুর বাদী বাচ্চু’কে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্র জানায়, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তল্লাতলা গ্রামের মৃত : শাহজাহান আকন্দের পুত্র শাদজ্জামান আকন্দকে সেনা সদর শ্রমিক (সি) সাময়িক পদে নিয়োগদানের জন্য চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেন একই গ্রামের প্রতিপক্ষ জহুরুল ইসলাম ও তার পিতা আমজাদ হোসেন। জহুরুল চাকরির প্রলোভন দিয়ে বেকার যুবক শাদজ্জামান ও তার বড় ভাই বাচ্চু আকন্দের নিকট থেকে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে একটি ভুয়া ও অবৈধ নিয়োগপত্র দেন। এরপর শাদজ্জামান সে নিয়োগপত্র নিয়ে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারে নিয়োগপত্রটি ভুয়া ও অবৈধ। অসহায় শাদজ্জামান চাকরির টাকা ফেরত চাইলে প্রতিপক্ষ জহুরুল ও আমজাদ তাকে হত্যাসহ জীবননাশের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। অবশেষে শাদজ্জামান ও তার ভাই বাচ্চু আকন্দ বালিয়াদিঘী ইউপির চেয়ারম্যানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান নোটিশ প্রদান করলেও বিবাদীপক্ষ সালিশে উপস্থিত হয়নি। বরং তারা শাদজ্জামান’সহ বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরপর নিরুপায় হয়ে পুনরায় শাদজ্জামানের বড় ভাই বাচ্চু আকন্দ বগুড়া পুলিশ সুপার বরাবরে জহুরুল ও আমজাদকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিক্তিতে বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষকে গত ৩০ নভেম্বর বগুড়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশের মাধ্যমে জানানো হলে বাদীপক্ষ উপস্থিত হলেও বিবাদীপক্ষ উপস্থিত হয়নি। বরং বিবাদীপক্ষদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করায় তারা অভিযোগ তুলে নিতে দিনমজুর বাদী বাচ্চু আকন্দ’সহ তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতিসহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে বাচ্চু’র পরিবার জানান। এ বিষয়ে বালিয়াদিঘী ইউপির ৭নং ওয়ার্ড (তল্লাতলা) ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বাবলা উপরোক্ত কথাগুলোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিবাদীপক্ষকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বহুবার বলেছি। তবে বিবাদীপক্ষ কোন কর্ণপাত করেনি। ফলে বিষয়টি মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।