রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ জেলায় ১১ মাসে সামাজিক বিরোধ, বিএসএফের গুলি ও কথিত বন্দুকযুদ্ধসহ বিভিন্নভাবে ৫৩ জন খুন হয়েছেন। বিভিন্ন থানায় প্রায় ১৪ জন নিহত হয়েছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। এর মধ্যে পুলিশ শিশু ও মহিলার ৬টি লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের তথ্যমতে কিছু লাশ উদ্ধারের পর আত্মহত্যার আলামত মিলেছে। অন্যদিকে ঝিনাইদহের ৭ ব্যক্তির লাশ মিলেছে অন্য জেলায়। পুলিশ পরিচয়ে এদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাদের পরিবারের অভিযোগ। কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১১ মাসে কোনো হত্যাকা-ের তথ্য না থাকলেও গত ৪ এপ্রিল মাসে সোলাইমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবল থানায় ডিউটি করা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার মৃত্যুটি আজো রহস্যজনক রয়ে গেছে। পুলিশ সুপারের অফিস ও বিভিন্ন সূত্রে এসব খুনের তথ্য মিলেছে। প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার মধ্যে ঝিনাইদহ সদরে ১১ মাসে ১৯ জন খুন হয়েছে। এছাড়া শৈলকুপায় ১২ জন, মহেশপুরে ৮ জন, কালীগঞ্জে ৬ জন ও হরিণাকু-ু উপজেলায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামে একসাথে তিন শিশু সাফিন, আমিন ও মাহিনকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে তার চাচা। বছর শুরুর প্রথমে জেলায় এটি একটি আলোচিত হত্যাকা-। এরপর দেশ বিদেশে আলোচিত হয় সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের বেলেখালে খৃস্টান হোমিও চিকিৎসক সমির খাজা, কালীগঞ্জে শিয়া মতবাদের হোমিও চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলার করোতিপাড়া গ্রামে মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ গোপাল ও উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে হত্যার ঘটনা। এসব হত্যার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন কথিত আইএস বিবৃতি দেয়। পুলিশ আইএস-এর দায় শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসে। দেশ-বিদেশে আলোচিত এসব হত্যাকা- পুলিশ প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। ঝিনাইদহ পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এসব হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতার হয় আসামিরা। অনেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। সেবায়েত ও পুরোহিত হত্যার রহস্য উদ্ধারে ঝিনাইদহ পুলিশ অভিযান শুরু করে সফলতা অর্জন করে। এদিকে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মন্দিরের পুরোহিত ও সেবায়েত হত্যার নিন্দা জানিয়ে ঝিনাইদহ সফর করেন। সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ঝিনাইদহে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ করেন। অল্পদিনের মধ্যে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান ও সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন এসব আলোচিত হত্যার সাথে জামায়াত শিবিরের সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহার আলী শেখ সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আলোচিত সব হত্যার ক্লু উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ দ্রুত সময়ে ঘাতকদের মোটিভ জানতে পারে। তিনি জানান, জেলা এখন শান্ত। সামাজিক বিরোধের জের ধরে ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলায় শান্তিশৃঙ্খলা পরিবেশ বিরাজ করছে। সার্বিক পরিস্থিতিও ভালো। পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এতে দাগি আসামি ছাড়াও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।