Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গারো পাহাড়ে গোলাপ চাষে সফলতা

এস. কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

এই প্রথমবার শেরপুরের গারো পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপফুল চাষ হচ্ছে অনাবাদি জমিতে। এতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পতিত জমিও আবাদযোগ্য হওয়ায় মালিকরা লাভবান হচ্ছেন। ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি শত শত একর জমি সেচ সংকটও হাতির উপদ্রোপে অনাবাদি থাকে। হাতির তাড়াতে কাটাযুক্ত লেবু বাগান, দেশি-বিদেশি ফুল-ফলের বাগান করা হয়েছ। ঝিনাইগাতী উপজেলার সন্ধ্যাকূড়ার মো:আলী বাণিজ্যিকভাবে গোলাপফুলের চাষ করেছেন। সে বলেন, সন্ধ্যাকুড়ায় অনাবাদি ১ একর ২৫ শতক জমিতে তার গোলাপফুলের বাগান। ১৫ বছর ঢাকায় ফুলের ব্যবসা করতেন। বাড়ি এসে পতিত জমিতে গোলাপফুল চাষ শুরু করেন। জানুয়ারিতে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় ৮ বছর মেয়াদে জমি লিজে শুরু করেন ফুলচাষ। বাগানের নাম ’জননী ফ্লাওয়ারস গার্ডেন’। নিজপুঁজি ও এনজিওগুলো থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণে যশোর ও ভারতের চেন্নাই থেকে চাইনিজ ও থাই জাতসহ ৫ রঙের ১৭ হাজার ৫ শ গোলাপচারা আনেন। ফেব্রুয়ারীতে চারা রোপণ করেন। ২ মাসেই ফুল আসে। বিক্রি উপযোগী হয় ৪ মাসে। ৭ মাসেই সাদা, লাল, হলুদ, গোলাপি ও কমলা রঙের গোলাপফুলে ভরে যায়। ১ বছরে ভালো ফুল/ ফলন হয়। শীত মওসুম গোলাপের ভর মওসুম। এ সময় বন্যহাতি আসে লোকালয়ে। বন্যহাতি ফুল-ফলের বাগান নষ্ট করবে, দুশ্চিন্তায় আছেন। শ্রমিক ফজলুর রহমান ও কুসুম আলী বলেন, সকাল-সন্ধ্যা কাজ করেন। পরিচর্যা, বিক্রির জন্য ফুলকাটিং, পরিস্কার ও পাইকারদের নিকট বিক্রি করেন। মাসে ১৪-১৬ হাজার টাকা মজুরি পান। আগাছা মুক্ত করতে শ্রমিকরা দিন চুক্তি শ্রম দেন। এতে বেকারত্ব কেটেছে। পাইকার আছর আলী ও মোকছেদ বলেন,স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ২ হাজার পিস ফুল সংগ্রহ হয়। ১শ পিস ফুলঝুড়ি ২-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পাহাড়িরা সফলতা দেখে গোলাপবাগানে আগ্রহী হচ্ছেন। তারাও পতিত জমিতে ফুলবাগান করবেন। দোকানদার রশীদজামান ও গেদা মিয়া বলেন,ফুলেররানী গোলাপ দেখতে বহুলোক আসছেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার বলেন, জমি পতিত না রেখে গোলাপ চাষে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, কৃষি বিভাগকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। মো: আলী বাগানে ৭ মাসেই ৪ লাখ টাকা আয় করেছেন। সাফল্যে উদ্যোক্তারাও ফুলচাষে আগ্রহী। এতে পরিবেশ ও ফসলের বৈচিত্রও সমৃদ্ধ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ