Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-৬

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ৭:০০ পিএম

সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে চেয়ারসহ সম্মেলনস্থলের জিনিসপত্র। এমন পরিস্থিতিতে পÐহয়ে যায় সম্মেলন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়াগ মহা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক হাফিজ তানভির, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন বাবু, জয়াগ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাব্বি’সহ অন্তত ৬জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আওয়ামী লীগে একজন সদস্যকে সমন্বয়ক করে সোনাইমুড়ীর জয়াগে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা না আসলেও অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু করে দেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। পরে অনুষ্ঠানস্থলে সাংসদ এ এইচ এম ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সম্মেলনের সমন্বয়ক ফুয়াদ হোসেন আসেন। অনুষ্ঠান আগে শুরু নিয়ে অতিথিদের সাথে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে জয়াগ মহা বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রধান অতিথি সাংসদ এ এইচ এম ইব্রাহিম অনুষ্ঠানস্থলে আসতে দেরি হওয়ায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু মোবাইলে তাঁর অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। কিন্তু তাতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আপত্তি জানালে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে সাংসদসহ আ.লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা খুবই লজ্জাজনক।

উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্য হয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কিছু হয়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ