Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটি টাকার জায়গা দখলে নিতে দুই পক্ষ মুখোমুখি

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ৬:১১ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কোটি টাকার জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষযটি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে উভয় পক্ষ। বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় আদালতের স্থিতি জারি থাকার পরও মানছেন না কেউ।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জের পৌর সদর সংলগ্ন জয়বাংলা মোড় এলাকায় চরশিহারী মৌজায় ১১৩ দাগে কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ১৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে একই বংশের দু’টি পক্ষ বিরোধে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ বলছেন সি,এস এবং আরওআর মূলে ওই সম্পত্ত্বির অংশিদার হয়ে ভোগদখলে আছেন এবং তাদের দাবি বিআরএস এ ভুল হওয়ায় বিআরএস সংশোধনের মামলা করেছেন। অপর পক্ষ বলছে সি,এস আর ও আর এবং বি আর এস মূলে ওই সম্পত্বি পেয়ে খারিজ করে হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও বিআরএস সংশোধনের মামলা চলমান আছে। জারি রয়েছে স্থিতি অবস্থাও। তার পরও নিজেদের দখল দেখাতে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ।

উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, জালিম শেখ, জরিফ শেখ ও সরিফ শেখ তিন ভাই ওই সম্পত্ত্বির সিএস মালিক। তৎকালীন সময়ে ওই তিন ভাই পৈত্রিকসম্পত্ত্বি ভাগ-ভাটোয়ারা করলে জালিম শেখ ওই বিরোধপূর্ণ সম্পত্ত্বির মালিক হন। জরিফ শেখের ছেলে সন্তান না থাকায় মেয়ে কিতাব জানকে হেবা মূল্যে ওই সম্পত্ত্বি লিখে দিয়ে যান । বিআরএস রেকর্ড হয় কিতাবজানের নামে। তারপর উত্তরাধিকার সূত্রে কিতাব জানের সন্তানরা ওই সম্পত্বির মালিক হন। কিতাবজানের ছেলে ইদ্রিছ আলীর নামে জমিটি খারিজ হয়। পরবর্তীতে ইদ্রিছের ছেলেদের নামে আবারও ওই জমিটি খারিজ হয় এবং হালসন পর্যন্ত তাদের খাজনা পরিশোধ করেছে তারা। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জমিটির আর ও আর এ বিবাদী মতিউর রহমানের পিতা নবী হোসেনের নাম সি এস এ দাদার নাম থাকায় বি আর এস ভূলবশত কিতাবজানের নামে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এবং ওই বি আর এস সংশোধনের জন্যে তারা ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে।

বিষয়টি নিয়ে মতিউর রহমানের ছেলে ইউসুফ শেখ বলেন, আমার বড় বাবার নামে সি এস ও দাদার নামে আর ও আর আছে । ভূলবশত কিতাবজানের নামে বি আর এস হয়ে যায়। বি আর এস সংশোধনের জন্যে ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে একটি মামলাও দায়ের করেছি। জায়গাটি আমাদের ভোগদখলে রয়েছে।


ইদ্রিছ আলীর ছেলে ইসহাক জানান, বিরোধপূর্ণ জমিটি আমার দাদু কিতাব জানের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। এবং আমরাও পৈত্রিক সূত্রে ওই জমি প্রাপ্ত হয়ে খারিজ করে হালসন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছি। ওই জমিটি মতিউর রহমান ও তার ছেলেরা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। যেহেতু বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই উভয় পক্ষকে সংযত হয়ে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও যদি বিষয়টি নিয়ে সংঘাতে জড়ায় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ