Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দেশে পৌছেছেন সউদির রিয়াদে নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের তরুনী, গ্রেফতার দালাল কাশেম

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১:২৫ পিএম

দেশে ফিরেছেন সউদি আরবের রিয়াদে নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তরুনী ইয়াছমিন। দেশে ফেরার পর গতকাল শনিবার অসুস্থ অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। এর পূর্বে গত শুক্রবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পদ্মাকে রিয়াদ থেকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে সউদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁকে দেশে পাঠান। খবর পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে, ইয়াছমিনকে সৌদি আরবে পাঠানোর কাজে সম্পৃক্ত দালাল কাশেম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আশরাফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার আমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ওই দালালকে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইয়াসমিন গৃহকর্মীর ভিসায় সৌদি আরবে যান। গত ২ অক্টোবর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তাকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে একটি লিখিত আবেদন দেন তার অসহায় পিতা। এতে বলা হয়, ইয়াসমিন কয়েকদিন ধরে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে তার ইমুতে কল করে কান্নাকাটি করে এবং তাকে সৌদির রিয়াদে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের নির্যাতন সে কোন কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। সেখান থেকে দেশে আনতে অনুরোধ করে তাকে। এরপর তার বাবা তার মেয়েকে সৌদিতে পাঠানোর কাজে নিযুক্ত দালাল চুনারুঘাট উপজেলার আমতলীর এলাকার বাসিন্দা কাশেম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করেন। তবে বিষয়টি কাশেম এড়িয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন ইয়াসমিনের বাবা।

এছাড়া তার বাবা জানান, কাশেম তার মেয়েকে ঢাকার শান ওভারসিজের মাধ্যমে সৌদি পাঠায়। তাকে সৌদিতে এক সপ্তাহ একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। যে কারণে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেশে ফেরার পরই তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরার সময় দালাল কাশেম মিয়াসহ তার কয়েকজন সহযোগী ইয়াসমিনকে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিমানবন্দর পুলিশের সহযোগিতায় তারা রক্ষা পান। অভিযুক্ত দালাল কাশেম মিয়া বলেন, ‘অপহরণ নয়, আমি ইয়াসমিনকে সঙ্গে করে মাধবপুর এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ, অযথা অভিযুক্ত করা হচ্ছে আমাকে।’ তিনি দাবি করেন, ইয়াসমিনকে সৌদি আরব থেকে দেশে আনার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, সৌদিতে কয়েকদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন এক গৃহকর্মী। দূতাবাস তাকে উদ্ধার করে দেশে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় কাশেম মিয়ার বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা দেয়া হলে চুনারুঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ