বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চবি সংবাদদাতা : আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।শনিবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবর থেকে এই লাশ উত্তোলন করা হয় ।
সূত্রে জানাযায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কবর থেকে দিয়াজের লাশ তোলার কাজ শুরু করে তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডিরা। আটার দিকে লাশ তোলার পর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন তারা।এর পর দিয়াজের মরদেহ সকাল ৯টারদিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন দিয়াজের মামা রাশেদ বিন আমিন চৌধুরী, উপজেলার নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম সর্দার, সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি অহিদুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোকাদ্দেস হোসাইন।
এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম সর্দার বলেন, আদালতের নির্দেশে দিয়াজের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশে দিয়াজের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসি বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
তদন্তে দায়িত্বে থাকা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের এএসপি অহিদুর রহমান বলেন, আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েছি । এখন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য। সেখানে থেকে বিকেলের ভেতর ময়নাতদন্ত শেষ করে আজি চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হবে দিয়াজের লাশ। এবং রাত ১০টার ভেতর পুনরায় মরদেহ দাফন করা হবে।
এ ব্যাপারে দিয়াজের মামা রাশেদ বিন আমিন চৌধুরী বলেন, দিয়াজ কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর যেন সুষ্ঠু তদন্ত করা হয়। এবার আমরা আশা করছি নিরপেক্ষ রিপোর্ট পাব।
এর আগে গত মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে তদন্তের জন্য দিয়াজের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে ময়নাতদন্ত স¤পন্ন করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য,গত ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় দিয়াজের মরদেহ দেখা যায়। রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ২৩ নভেম্বর দিয়াজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এতে দিয়াজের মৃত্যু আত্মহত্যা জনিত কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে দিয়াজের পরিবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাকে হত্যা করে
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দিয়াজ হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আবদুল মালেক,যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক স¤পাদক মোহাম্মদ আরমান,আপ্যায়ন স¤পাদক মিজানুর রহমান, উপ প্রচার স¤পাদক রাশেদুল আলম জিসান, সদস্য আরেফুল হক অপুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০জনকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩০২, ২০১ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।