Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

টানা ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঈদে মিলাদুন্নবী, সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান দুর্গোৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ৫ দিনের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। শুক্রবার বিকাল থেকেই সৈকতে এ সকল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। পর্যটকদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ রিসোর্ট ও হোটেল রুম। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। তবে রুম খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা। হোটেলে রুম না পেয়ে আশপাশের বাসাবাড়িতে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের।

আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পূজা উদযাপন উৎসবে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে এসব পর্যটকদের এখন ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। রাখাইন মার্কেট, ঝিঁনুক মার্কেট, শুটকী মার্কেট, খাবার হোটেলসহ বাহারী পণ্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। এই পর্যটন নগরীর সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর কেটে গেছে সব বাধা। যোগাযোগ সুবিধার কারণে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। ছোট বড় মিলিয়ে দেড়’শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে রুম পান না পর্যটকরা। আশপাশের বাড়িগুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেয়া হলেও তাতেও জায়গা হচ্ছেনা। তাই অনেকে রাত্রিযাপন করে সেকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়।

আগে যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল-রিসোর্ট খালি পড়ে থাকতো, সেখানে এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল রিসোর্ট নির্মাণসহ বিনিয়োগের দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

পাবনা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেলেই কুয়াকাটা আসি। কিন্তু প্রতিবারই হোটেলে রুম না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কোথাও রুম পাওয়া যায়নি। তাই বন্ধুরা মিলে বাসের মধ্যেই রাত্রিযাপন করছি। পরবর্তীতে কুয়াকাটা এলে অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসবো। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রুবিনা ইসলাম বলেন, যান্ত্রিক জীবন থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পরিবারসহ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এসেছি। খুব আনন্দ পেয়েছি।

আবাসিক হোটেল কানসাই ইন’র ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা পৌরসভার সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।


কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, কুয়াকাটা আগে বর্ষার সময় তেমন লোক থাকত না, এখন সবসময়ই অনেক পর্যটক আসে এবং আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। পর্যটন স্পটগুলোতে আমাদের টহল জোরদার করেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ