বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মাঝে কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে। গতকাল দুপুরে দাউদপুর ইউনিয়নের রোহিলা এলাকার বটতলায় একই স্থানে দুই পক্ষের সমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় র্যাব-পুলিশের কঠোর অবস্থানে থাকায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (ওসি/তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরেই দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এক পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মেম্বারসহ তার অনুসারীরা গতকাল বেলা ১১টার দিকে রোহিলা বটতলা এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করেন। একই স্থানে অপর পক্ষের দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারসহ তার অনুসারীরা পাল্টা সমাবেশের আয়োজন করেন। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। এ জন্য সমাবেশের আগে থেকেই বিপুল পরিমান র্যাব ও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। এখানে কোন পক্ষ কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেয়া হলে কোন পক্ষই ঘটনাস্থলে আসেনি এবং সমাবেশ করেননি। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে জিন্দা এলাকায় কর্মী সমাবেশ ও সদস্য সংগ্রহের আয়োজন করা হয়। সেখানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান সভাপতি মামুন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানকে পুনরায় বিজয়ী করতে সমর্থন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মেম্বার, যুবলীগ নেতা শাহিন মালুম, রফিকুল ইসলামসহ তাদের নেতাকর্মীরা। অপর দিকে, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী সামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হারুন অর রশিদ বিপ্লবকে সমর্থন করেন দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারসহ তার অনুসারীরা। এ নিয়ে কর্মী সভায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে প্রবেশ করতে না দেয়ায় উভয় পক্ষ আলাদাভাবে কর্মী সমাবেশ করেন। এসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আল সায়েমসহ নেতারা উভয় পক্ষের সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উভয় পক্ষ বিভাজন ভেঙ্গে আসার আহবান জানান। পরে কমিটি না দিয়ে ফিরে যান।
এরপর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দাউদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কালনি এলাকায় আওয়ামী লীগের এক সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন সাধারশ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারসহ আরো অনেকে। ওই সভায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান সভাপতি মামুন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানসহ তাদের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা কোন পক্ষই আর কোন ঝামেলায় জড়াবে না। এখন থেকে আর সমস্যা হবে না। এছাড়া ওই ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।