বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের ছাতকে গার্মেন্টস কর্মীকে পাশবিকতার চেষ্টার অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক পুত্র আল আমিন (২৬) কে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পিতা। গতকাল দুপুরে অভিযুক্ত পুত্রকে স্বেচ্ছায় থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আল আমিন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুশিয়ার আলীর পুত্র। বর্তমানে সে ছাতক-সিলেট সড়কের ঝাওয়ারখাড়া এলাকার বস্তির বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত ভিকটিম জানান, কয়েক বছর ধরে ঢাকা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে সে চাকুরী করে আসছে। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে সে শুক্রবার দিনের বেলায় গাজীপুর থেকে যাত্রীবাহী বাস যোগে সিলেটে আসে। এরপর সিলেটের বন্দরবাজার থেকে লেগুনাযোগে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ নামেন রাত ৯টার দিকে। হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশাতে উঠে ওই নারী। ওই অটোরিকশাতে আরও ৩ জন পুরুষ যাত্রী ছিল। রাত প্রায় ১০টার দিকে সূফিনগর ও আশপাশ এলাকায় ৩ জন পুরুষ যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। একমাত্র ওই গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন গাড়িতে। লম্পট চালক যুবতী যাত্রীকে নিয়ে খারাপ কথা বার্তা বলার পর ঝাওয়ার খাড়া ব্রিজ পার হয়ে পুলিশ বক্সের পাশের পরিত্যক্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভেতরে নিরাপদ স্থানে গিয়ে থেমে যুবতীকে ব্লাকমেইল করে পাশবিকতার চেষ্টা চালায়। এসময় লম্পট চালকের হাত থেকে বাঁচতে এবং নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে সড়ক পথে ওই যুবতী দৌড় দেন। ওই সময় গোবিন্দগঞ্জগামী অপর সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীরা তাকে হেফাজত করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নম্বরবিহীন মিনহা-তানহা পরিবহন-১, নামের অটো-রিকশাসহ ওই যুবতীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগেই চালক তার গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
লম্পট আল আমিনের বিরুদ্ধে এ ধরণের আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। থানার উপ-পরিদর্শক সামছুল আরেফিন ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ওই যুবতী গার্মেন্টস কর্মীকে উদ্ধারের পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রঞ্জন চন্দ্র মল্লিক বলেন, আসামী আল আমিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুশিয়ার আলী তিনি নিজেই তার ছেলেকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।