বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জেলা রিটার্নিং ও জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি এ অভিযোগপত্র জমা দেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে অভিযোগটি গ্রহণ করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন নির্বাচন অফিসার শওকত আলী। তিনি জানান, সরকারি ডাক বাংলো বা সার্কিট হাউজে নির্বাচনী সভা ও এমপির অংশগ্রহণ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি তার আপন ভাগ্নে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্ত্তীর পক্ষে বিভিন্নভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন অভিযোগ প্রার্থীর।
লিখিত অভিযোগে সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার একমাত্র সদস্য প্রার্থী গৌতম চক্রবর্ত্তী। তার মামা মণিরামপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য। জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধির ২২ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু এই বিধি লঙ্ঘন করে আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গৌতম চক্রবর্ত্তীর পক্ষে যশোর সার্কিট হাউজে উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে তার আপন ভাগ্নে গৌতম চক্রবর্ত্তীর উপস্থিতিতে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালান। সেখানে নির্বাচনী মিটিং করে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে তার ভাগ্নে গৌতম চক্রবর্তীকে বিজয়ী করতে নিজ নিজ ইউপি সদস্যদেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সার্কিট হাউজে নির্বাচনী প্রচারনার সভায় ভিডিও ফুটেজ সার্কিট হাউজের সিসি টিভির ফুটেজ তদন্ত করলে সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, ভাগ্নের হয়ে যশোর সার্কিট হাউজে মণিরামপুর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন খবরে সংবাদ কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তবে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপির পিএস কবির খান গণমাধ্যম কর্মীদের সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে যেতে বাধা দেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা কোন সরকারি প্রোগ্রাম না। এটা প্রতিমন্ত্রী মহাদয়ের নিজস্ব প্রোগ্রাম। সেখানে সভাকক্ষের মঞ্চে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউপির চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু, ভোজগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বসে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়াও সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় উপজেলার আরোও ৮ ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শুরু হওয়ার ঘন্টা দেড়েক পর অনুষ্ঠানে যোগদেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুলও। তিনিও উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ভোট প্রাথনা করেন।
এই বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে উপজেলার চেয়ারম্যানদের নিয়ে এডিবি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কিছুটা দ্বন্দ রয়েছে। সেটা নিয়ে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বসেছিলাম। ওখানে কোন নির্বাচন নিয়ে কোন কথা হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আরেক প্রার্থী অভিযোগ করেছে। সাংবাদিকদের কোন ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার কোন জানা নেই। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন নির্বাচন অফিসার শওকত আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। জেলা রিটার্নিং অফিসার ঢাকাতে আছে। ওনার সাথে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।