বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বিএসসি পড়ুয়া ছাত্র মীর মাহবুব হোসেন সুমন অপহরণের ৭ দিনে সন্ধান মেলেনি। পরিবারের অভিযোগ থানায় জিডি করতে গেলে তা নিচ্ছেন না পুলিশ। মীর মাহবুব হোসেন সুমন পীরগঞ্জ উপজেলার করনা মীরপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। পরিবারের ভাষ্য মতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে সুমন বাড়ি থেকে তার মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মোটরসাইকেলে করে দিনাজপুরে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী ব্রিজের পার্শ্বে বোচাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি জায়গায় তাদের পথ রোধ করে ৫ জন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি। মোটরসাইকেলের কাগজ পত্র দেখতে চেয়ে সুমনকে রাঁস্তার সাইডে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সুমনের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারটি হতাশ ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে পীরগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে বোচাগঞ্জ থানায় দেখিয়ে দেন আর বোচাগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পীরগঞ্জ থানায় দেখিয়ে দেন। এতে পরিবারটি পড়েছেন বেশ বিপাকে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে ছেলের পরিবার থানায় আসে। ঘটনাটি বোচাগঞ্জ থানাধীন এরজন্য সেই থানায় তাদের জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুমনের খোঁজ বা সন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা থানা পুলিশ জিডি ও মামলা নেওয়ার জন্যই আছি। সুমনের বিষয়ে থানায় এক ভদ্রলোক এসে বলেন, তার ছেলে নিখোঁজ। সে অনুযায়ী আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কিন্তু ঘটনাটি যেখানে ঘটে সেটা আমার থানার আওতায় নয়।
সেটি ঠাকুরগাঁও এরিয়ায়। আমার থানার আওতায় হলে অবশ্যই জিডি নিবো। আমাদের থানা এলাকায় ছেলেটির খোঁজ নিচ্ছি পেলে তার পরিবারকে জানানো হবে। এ বিষয়ে দিনাজপুরের কাহারোল ও বোচাগঞ্জ সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. রওশন আলী বলেন, যেহেতু তাকে অপহরণ করা হয়েছে থানায় জিডি হবে কেন। এক্ষেত্রে থানায় অপহরণ মামলা হবে। ভিকটিম নিখোঁজ বা অপহরণ হয়েছে সেক্ষেত্রে ভিকটিমের নিজ থানায় অর্থাৎ ভিকটিম যে এলাকার বাসিন্দা সে এলাকার থানায় মিসিং জিডি বা অপহরণ মামলা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।