Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে কেমন আছেন কৌতুক অভিনেতা রনি?

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২২, ১১:০৭ এএম

গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ ‘মিরাক্কেল’ খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কেবিনে ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। শুকিয়ে গেছে শরীরে দগ্ধ হওয়া ২৫ শতাংশের প্রায় সবটুকু। তবে ক্ষতের চিহ্ন এখনও দৃশ্যমান। তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ তথ্য জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

গত কয়েকদিন রনির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ডা. সামন্ত লাল জানান, ‘রনি আশঙ্কামুক্ত আছেন, অপেক্ষায় করছেন বাসায় ফেরার’। তিনি আরো বলেন, ‘রনি হাঁটতে পারছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি কেবিন থেকে বেরিয়ে করিডোরে গিয়ে দৌড় দেন।’ তার দৌড় দেখে বিস্মিত চিকিৎসকরা।

সামন্ত লাল সেন আরো জানান, রনিকে শিগগিরই ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি আবার মঞ্চে ফিরতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে ডা. সেন বলেন, ‘তার মঞ্চে ফিরতে কোনো বাধা হবে না। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, আশা করছি সেটা তার পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

এদিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এই প্রথম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে চিরচেনা হাসিমুখ নিয়ে হাজির হন আবু হেনা রনি। তিনি বলেন, ‘পূর্ণ সুস্থতা অনুভব করছি। যদিও এক হাতে ডিপ বার্ন এখনো আছে। কিন্তু আমার মানসিক শক্তি বলছে, আমি একেবারে আগের জীবনে ফিরে আসছি।’

এসময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি জানান ভয়াল সেই ঘটনার বিবরণায় রনি বলেন, ‘আইজিপি স্যার থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই বেলুন উড়িয়ে দিলেন। আমি পাশেই ছিলাম, কিন্তু বেলুনটা না উড়ে ভেসে আমাদের কাছে চলে আসে। আমি সেটা ধরে পড়তেছি যে কি লেখা। আমি আমার পারফরমেন্সের জন্য ক্লু খুঁজতেছিলাম। সে সময় অন্য পুলিশ সদস্যরা বিষয়টা খোঁজার চেষ্টা করছিলেন যে বেলুনটা কেন উড়ল না। যে এই বেলুনের দায়িত্বে ছিল সে মনে করেছে ভারী কিছু আছে, সেটা আগুন দিয়ে পুড়ে আলাদা করার চেষ্টা করে। তখন ১০০ বেলুন একসাথে হাইড্রোজেন বোমার মতো ব্লাস্ট হয়।’

হাসপাতালে কাটানো দিনগুলোর বিষয়ে রনি বলেন, ‘এখানে বার্নের রোগীদের অনেক কেয়ার করতে হয়, স্কিন থেকে শুরু করে অনেক কিছু। প্রতি মুহূর্তে যে চেঞ্জ হয়, ব্যাথা হয় সেটাও চিকিৎসকরা এসে ঠিক করে দিয়ে গেছেন।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনে মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন আবু হেনা রনি ও আরও ৪ পুলিশ সদস্য। দগ্ধদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ