পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারকে আর কোন সময় দেয়া যায় না। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। সেজন্য এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জেগে উঠেছে আমাদের তরুণ-যুবকেরা। আজকে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। পিছনে ফিরবো না। মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারকে বাধ্য করবো পদত্যাগ করতে, পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান করতে, সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্যে দিয়ে জনগণের ভোটে নতুন সংসদ গঠন করে ‹নতুন সরকার› গঠন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে আয়োজিত শোক র্যালিপূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি কাকরাইল মোড় হয়ে আরামবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সারাদেশে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী, পুলিশের গুলিতে নিহত, ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শাওন প্রধান এবং বেনাপোল পৌর সভার ৩৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মো. আব্দুল আলিমের স্মরণে› এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের অস্তিত্বের জন্য, বাঁচার জন্য এবং আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এই হাসিনা সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নিহত ৫ নেতার প্রতি স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যে দেশ ও জনগণের জন্য আত্মহুতি দিয়েছেন, তারা যে এদেশকে স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের হাত থেকে মুক্ত করতে চান, সেখানে তারা মিছিলে থেকে এই দানবীর সরকারের পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। আর অসংখ্য আহত হয়েছে। কারো চোখ চলে গেছে এবং কারো বুক চলে গেছে। অসংখ্য মামলা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের লক্ষ্যে প্রতিদিন এবং তাকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মিছিলে মিছিলে আরো মানুষ বাড়ছে।
রাজবাড়ীতে একজন মহিলা নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কি অপরাধ? অপরাধ, তিনি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন, লিখেছেন এই হাসিনার বিরুদ্ধে। কেনো? আপনি কি গড, বিধাতা যে, আপনার বিরুদ্ধে কিছু কথা বলা যাবে না? একটা গণতান্ত্রিক দেশে যে কারো সমালোচনা করার অধিকার আছে। প্রত্যেকটি মানুষের রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে এই সরকার এতোটা ভয়াবহ স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদীতে রূপ নিয়েছে যে, আমাদের ঘরে- ঘরে গিয়ে পুলিশ তল্লাসী নিচ্ছে এবং নাম নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে সঠিক তথ্য জানতে না পারে, আমাদের গণমাধ্যম যাতে এই সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য সার্কুলার দিয়ে ২৯টি বিভাগকে, তাদের কাছ থেকে কোন খবর নেয়া যাবে না। তারা কাউকে কোন খবর দেবে না। এর অর্থ হচ্ছে, তাদের যে দুর্নীতি ও চুরিকে ঢেকে রাখবার জন্য এবং সঠিক খবর থেকে তারা সমস্ত দেশ এবং জাতিকে বঞ্চিত রাখতে চায়।
র্যালিতে যোগ দিতে দুপুর ১টা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাগম হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বিএনপিরসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, কালো ফ্ল্যাগসহ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে র্যালি অংশ নেন।
র্যালিতে বিএনপির র্যালিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খাযরুল কবির খোকন, আবুদস সালাম আজাদ, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, শিরিন সুলতানাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।