বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ড মাথায় নিয়ে তৈরি করতেন টিকটক। ঠিকানা বদলে কখনো ঢাকায়, কখনো চট্টগ্রামে টিকটকের স্যুটিং করতেন। এভাবে পাঁচ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন র্যাবের হাতে। আলোচিত মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রনি শিকদারকে (২০) বুধবার রাতে ঢাকার লালবাগ থানার শহীদ নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালে রনি শিকদার ও তার তিন বন্ধু মিলে গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে চট্টগ্রাম থেকে খুলনায় ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আসার সময় ওই বছরের ১২ জানুয়ারি চালক রিপনকে খুন করে। গাড়িটি নিয়ে তারা ঢাকায় পালিয়ে আসার চেষ্টা করে। পরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে খুলনার লবণচরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০২২ সালের ২৯ মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রিপন হত্যার দায়ে রনিসহ চারজনকে মৃত্যুদন্ড দেন। রনি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি শিকদারের জানায়, হত্যাকান্ডের দুই বছর পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হন। এরপর তারা আর কোনো দিন আদালতে হাজিরা দেননি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যান। রনি শিকদার জামিনে বের হয়ে প্রথমে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর ও আয়রনম্যানের কাজ করেন।
এরপর তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এরপর ঢাকার লালবাগ শহীদ নগর এলাকার একটি চুড়ির কারখানার কাজে নেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত টিকটক ভিডিও তৈরি করতেন। রনি শিকদার তার ব্যবহৃত মোবাইলের মাধ্যমে ‘জাহাঙ্গীর আলম’ ও ‘কলগার্ল বয়’ নামের দুইটি আইডি দিয়ে বিভিন্ন রকম টিকটক ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে আসছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।