Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুন্সীগঞ্জে শাওন হত্যা মামলায় পুলিশ সহ ৩৫৯ জনের বিরুদ্বে এজাহার

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৬ পিএম

মুুন্সীগঞ্জে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কমীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শাওনের মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সালাহউদ্দিন খানঁ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট ( আমলি আদালত -১ ) আদালতে ৯জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামী করে এজাহার দাখিল করেন । এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সার্কেল ) মিনহাজ উল ইসলাম ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) সুমন দেব , ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুজ্জামান , এস আই মোঃ ফরিদ উদ্দিন , এসআই মোঃ আরিফুর রহমান , এসআই সুকান্ত বাউল , এ এসআই নকুল চন্দ্র দর , এএসআই অভিত চন্দ্র বিশ্বাষ , এএসআই মন্টু বৈধ্রে নাম উল্লেখ করে অক্ষাত আরো ৪০/৫০জন পুলিশ সদস্য এবং ২০০/৩০০ জন সরকার দলীয় সদস্যকে আসামী করা হয়। আদালত আগামী ১০ অক্টোবর শুনানীর দিন দার্য করেছে।

এজাহারে বলা হয় বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী চলাকালে পুলিশ শান্তিপূর্ন কমৃসূচীতে বাধা দেয় এবং হামলা করে। এ সময় শাওন ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে এবং ১ নঃ আসামীর নির্দেশে পুলিশ শাওনের কপালে ডান পাশে গুলি করে। মারাতœক আহত অবস্থায় শাওন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।এজাহারে আরো বলা হয় শহর থেকে একটি মিছির সমাবেশ স্থলে আসার সময় ১ নম্বর আসামী এএসপি ( সার্কেল ) মিনহাজ উল ইসলাম গাড়ী থেকে নেমে মিছিল কারীদের হাত থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিরে ফেলে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুক্তারপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্বি , নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি , খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ব হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মীরকাদি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।
এর আগে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন সংবাদ সন্মেলনে দাবী করেন শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যু গুলিতে নয় মাথায় ইটের আঘাতে হয়েছে। তিনি বলেন ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টেও গুলির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার দাবি করেন, যুবদলকর্মী সাওন বিএনপির অন্য এক কর্মীর পেছন থেকে ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে শাওনের পরিবার ভয়ে কোন মামলা করতে শাহস পাচ্ছে না। তারা শুধু আরøার কাছে বিচার দিয়ে শান্তনা খুছছে।পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভ’গছে।পালিয়ে বেড়াচ্ছে এখানে সেখানে।এলাকার লোকজনও শাওনের বাড়ীতে যেতে সাহস পাচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ