বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুলের ফ্যান ও পানির পাম্প সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে গেছে চোর। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। স্কুলের নৈশপ্রহরী না থাকায় বারংবার চুরি হচ্ছে বলে জানায় পরিচালনা কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের গেইটের তালা কেটে ক্লসা রুমের ৪টি ফ্যান, পানির পাম্প নিয়ে গেছে চোরেরা। এ বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক মিটিংয়ে বসেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। মিটিংয়ে স্কুলের চুরি প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন তার। এ ছাড়াও চুরির বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, বিদ্যোৎসাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম জসিম, ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি নওসাদ, সদস্য আব্বাস আলী, মিজানুর রহমান রসিক, কবির আহমদ, সহকারি শিক্ষিকা সালমা বেগম।
এর আগেও ২০১৯ সালে স্কুলের তালা ভেঙ্গে সরকারি ল্যাপ্টপ ও স্ক্যানার চুরি হয়। তখনও স্কুলের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়ে ছিল। কিন্তু থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও ভোলাগঞ্জ আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ অত্র এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন চোরের উপদ্রবে টিউবওয়েল, পানির মোটর, ক্রাশার মিলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন কোন না কোন জিনিস চুরি হচ্ছে।
ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী আবুল বাশার বলেন, স্কুল ও মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিস চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চোরদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকা। এদের প্রতিহত করতে না পারলে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে।
ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ জোবেদা বেগম জানান, পূজার জন্য স্কুলে সরকারি ছুটি চলছে। স্কুলের বিল্ডিংয়ের গেইটে তালা লাগানো ছিল। বুধবার সকালে জানতে পারি তালা ভেঙ্গে স্কুল চুরি হয়ে গেছে। সাথে সাথে আমি স্কুলে চলে আছি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে চুরি হয়েছে যেনেছি। প্রধান শিক্ষিকাকে থানায় জিডি করতে বলেছি। এ ছাড়াও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।