পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয়ে গুজবে কান না দেওয়ায় গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে রাত ৯টার মধ্যে গ্রিড রিস্টোর করা সম্ভব হয়েছে। এখনো অল্প কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি বা স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিল- সেসব এলাকার গ্রাহকরা আরেকটু ধৈর্য ধরুন। ধীরে ধীরে লোড বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
নসরুল হামিদ লেখেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪ মিনিটে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। এরপর ২টা ৩৬ মিনিটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন চালু করা হয়। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। রাত ৯টায় সিস্টেম জেনারেশন ৮ হাজার ৪৩১ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। সতর্কতার সঙ্গে তা বাড়িয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলে।’
প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জের মতো বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো চালু করে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। ঢাকায় ২ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ১ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল।
এ সময় তিনি গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, গুজবে কান দেননি, আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ ধন্যবাদ বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর প্রধান, প্রকৌশলী এবং কর্মীদের, যারা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর ২টার দিক থেকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এর কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের এ কমিটি করা হয়েছে।এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ ও তৃতীয় পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।