রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি (এম আর) দের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আবাসিক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। বাসা, চেম্বার বা বহির্বিভাগের ডাক্তার দেখিয়ে বেরিয়ে আসলে ডজন খানেক এম আর রোগীর সামনে এসে হাজির। রোগীর হাত থেকে কার আগে কে প্রেসক্রিপশান নিবেন সে প্রতিযোগিতায় তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কোন রকমে চলচাতুরী করে রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশান নিয়েই কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন ডাক্তার সেটা দেখতে থাকেন একেকজন করে। এদিকে প্রেসক্রিপশান নিয়ে নিজেরা টানা টানি করতে করতে রোগীর বারটা বেজে যাচ্ছে তাতে কোন কর্ণপাতই এম আরদের নেই। হত-দরিদ্র, অশিক্ষিত ও মহিলা রোগী পেলেতো আর কথাই নেই। এম আররা তাদের নিজের ইচ্ছে মতো প্রেসক্রিপশান দেখছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশে রোগীদের সমস্যায় না পড়লেও বের হতে এম আরদের চাপের মুখে পড়তে হয় সকল রোগীদের। একজন রোগীর প্রেসকিপসশন দেখতে ৫-১০ জন এম আর কাড়াকাড়িয়ে লাগিয়ে দেয়। কারণ সম্মানিত ডাক্তার মহোদয়কে এম আরের ঝালাই করে দিয়ে আসা ওষুধ খানা প্রেসক্রিপশনে দিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য। এতে করে অতিষ্ট হয়ে পড়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তারাও এম আরদের চাপে পড়ে দিতে হয় ওষুধ, সেই ওষুধের লিস্ট থেকে এমনও ওষুধ থাকে যা চৌদ্দগ্রাম, ফেনী কিংবা কুমিল্লা গিয়েও পাওয়া যায় না। এদিকে আবদুর রব লাভলু নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, রাত ৯.৩০ এ গিয়ে দেখা যায় মহিলা ওয়ার্ডে ইনসেপ্টা কোম্পানির কামরুল নামের একজন এম আর ছবি তুলছে প্রেসক্রিপশনের, তাকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দেয় আমি ডাক্তার ভিজিটে আসছি, পরের দিন সকালে এম আরদের কাড়াকাড়ির চিত্রের মধ্যে দেখা যায় তাকে (গোল বৃত্ত)! পরে তাকে প্রশ্ন করলে সে বলে আমি ডাক্তার বা যেই হই না কেন আপনার কি? আমাকে কেউ কিছুই বলার নেই কাকে গিয়ে নালিশ করবেন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, কামরুল কে আমি চিনি না। ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশান দেখে বা তাদের বিরক্ত করে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।