রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বরে জাফর খাঁ নদীর ওপর সেতু না থাকায় আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। পানিশ্বর ইউনিয়নের পানিশ্বর, শাখাইতি, নাইলা, টিঘর, বিটঘর শান্তিনগর ও বেড়তলা এবং চুন্টা ইউনিয়নের চুন্টা, নোয়াহাটি ও বড়বল্লা গ্রামের লোকজন ওই নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে মাঝেমধ্যে সাঁকো থেকে পড়ে অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। সরেজমিন গেলে স্থানয়ীরা জানায়, প্রতি বছরই গ্রামবাসী বাঁশ ও টাকা সংগ্রহ করে পানিশ্বর গ্রামে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছে। বর্ষার সময় পানি বেড়ে গেলে সেতু ভেঙে যায়। তখন চার-পাঁচ মাস সেতু থাকে না। রাতের আঁধারে সাঁতার কেটে নদী পার হওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না। অন্য সময় ওই সাঁকো দিয়েই গ্রামের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির মানুষ যাতায়াত করছে। সরাইল ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের শিউলি আক্তার বলে, ‘বাঁশের সাঁকোর মাঝখানের মাচাটির উপর ওঠলেই ভয় লাগে, গা ছমছম করে। আমরা খুবই সাবধানে ওই সাঁকো পার হয়ে কলেজে যাই। আমরা এখানে সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’ নাইলা গ্রামের করিম মিয়া, জমিলা বেগম, ইব্রাহিম সমিয়াসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, স্বাধীনের পর থেকে আমরা এমপি-মন্ত্রীদের কাছে দাবি করে আসছি আমাদের এ সেতুটি নির্মাণের জন্য। প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নেতারা প্রতিশ্রুতিও দেন। নির্বাচনের পর তারা সে প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। আমরা সেতু পাই না। পানিশ্বর ইউপির চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘ওই বাঁশের সাঁকোর জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ করা জরুরি। আমি এ ব্যাপারে চেষ্টা করছি।’ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুর রহমান, বলেন এখানে সেতু করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। এটি করতে গেলে এলজিইডির অর্থের প্রয়োজন হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ‘আমি সরেজমিন দেখে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।