Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাস্তা নয়, যেন মরণ ফাঁদ! চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

মহব্বতপুর বাজার রাবার ড্রামের রাস্তা

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মহব্বতপুর বাজার থেকে রাবার ড্রামের রাস্তাটি এখন জনসাধারণের জন্য নয়, যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ঘটনায় পড়ছে পথচারী ও সাধারণ যানবাহন। এ রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করা তো দূরের কথা। পায়ে হেঁটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ।

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার সুরমা ও লক্ষীপুর দুই ইউনিয়ন থেকে সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো মহব্বতপুর বাজার-রাবার ড্রামের রাস্তা। এ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় পণ্য পরিবহনেও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এলাকাবাসীর দাবির মুখে জনপ্রতিনিধিদের বারবার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই রাস্তাটিতে। বর্ষার পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তায় বিশাল-বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য জায়গা ভেঙে পড়াসহ লোহার রড বের হয়ে রয়েছে। যার জন্য ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা।
প্রতিদিন গর্তের মধ্যে আটকা পড়ছে, এর ফলে দেখা দিয়েছে জনসাধারণের ভোগান্তি। কখনো যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা, যাত্রীরা ভয়ে গাড়ী থেকে নেমে হেটে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির কাজ না হওয়ায় বর্তমানে স্থানে-স্থানে ভেঙে এত বেশি পরিমাণ গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যে, গাড়ি চলাচল করতে নানা ধরণের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাবার্ড্রাম বাজারের ব্যবসায়ী ডা. আশাম উদ্দীন বলেন, দেশ ডিজিটাল হয়েছে কিন্তু রাস্তা এখনো ডিজিটাল হয় নাই। রাবারড্রাম থেকে মহব্বতপুর বাজার পর্যন্ত এ রাস্তাটি সংস্কার চাই।

মহব্বতপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মহব্বতপুর বাজার-রাবার ড্রামের রাস্তা দিয়ে সমুজ আলী স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে। এ রাস্তার অবস্থা একদম খারাপ।

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, মহব্বতপুর বাজার-রাবার ড্রামের রাস্তা দিয়ে সুরমা ও লক্ষীপুর দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। এ রাস্তাটি চলাচলের জন্য একদম অনুপযোগী। দোয়ারা বাজার উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বলেন, গত সপ্তাহে এ রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম দেখলাম এ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি এ রাস্তার ব্যাপারে। কয়েকদিনের মধ্যে এ রাস্তার কাজ শুরু হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ